মধ্যপ্রাচ্য
বিদেশে এখন
0

হুতিদের কাছে ইরানের 'টাইফুন' ক্ষেপণাস্ত্র

ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের কাছে রয়েছে ইরানের তৈরি অস্ত্রের বিপুল ভাণ্ডার। সেই অস্ত্র দিয়ে লোহিত সাগরে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে তারা। এমন অভিযোগ করেছেন সৌদি আরব ও পশ্চিমা দেশগুলো।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি’র খবরে বলা হয়েছে, হুতিদের কাছে ইরানের তৈরি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র 'টাইফুন' রয়েছে।

ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার প্রতিবাদে গত ২ মাস ধরে লোহিত সাগর কব্জায় রেখেছে হুতিরা। সাগরে চলাচলকারী পণ্যবাহী জাহাজগুলোকে লক্ষ্য করে এরইমধ্যে ২৬ বার আক্রমণ করেছে তারা। এতে বন্ধ হয়ে গেছে সুয়েজ খাল দিয়ে জাহাজ চলাচল।

এর জের ধরে শুক্রবার হুতি গেরিলাদের লক্ষ্য করে ইয়েমেনে যৌথ আক্রমণ চালায় যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হুঁশিয়ারি লোহিত সাগর না ছাড়লে ফের অভিযান চালানো হবে হুতিদের ওপর। তবে কে শুনে কার কথা? বাইডেনের এসব হুঁশিয়ারিকে যেন তোয়াক্কা করছে না সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে, আমেরিকার মতো দেশকে কেন ভয় পাচ্ছে না যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেন? এর উত্তর খুঁজেছে এনডিটিভি, আর এ নিয়ে প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে তারা।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হুতিদের কাছে রয়েছে ইরানের তৈরি অস্ত্রের ভাণ্ডার। যা দিয়ে পশ্চিমাদের আক্রমণ প্রতিহত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, হুতি গেরিলাদের কাছে ব্যালিস্টিক মিসাইল 'টাইফুন' রয়েছে। ইরানের তৈরি দূরপাল্লার এ ক্ষেপণাস্ত্রটি ১৬শ' থেকে ১৯শ' কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে পারে। আর ইরানিয়ান 'কদর' ক্ষেপণাস্ত্রের নতুন রূপই হচ্ছে 'টাইফুন' মিসাইল।

২০১৬ সালে ইরান সর্বপ্রথম পরীক্ষা চালিয়েছিলো ‘কদর’ ক্ষেপণাস্ত্রটির। তখনই ১৪শ' কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে পারতো এটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ শুরুর মাত্র ১ সপ্তাহ আগে অত্যাধুনিক এই ‘টাইফুন’ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। তাই এর কার্যকারিতা নিয়ে বেশ আশাবাদী হুতিরা। তবে এতে সন্তুষ্ট নয় তারা, ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত করে ইসরাইলকে গুড়িয়ে দিতে চায় তারা।

ইরান তাদের তৈরি ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র নিয়ে হুতিদের মদদ দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। যদিও বরাবরের মতোই তা অস্বীকার করেছে তেহরান। আর হুতিদের দাবি, তারা নিজেরই এসব অস্ত্র উৎপাদন করছে।