
আসাদ পালিয়ে গেলেও সিরিয়ায় নতুন ঝুঁকি তৈরি করছে ইসরাইল
সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের তোপের মুখে স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদ পালিয়ে গেলেও দেশটির জন্য নতুন করে ঝুঁকি তৈরি করছে ইসরাইল। বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে গোলান মালভূমিতে বসতি বাড়াবে ইসরাইল। এই পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য। এদিকে গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত সিরিয়া পুনর্গঠনে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে ব্রিটেন।

স্বাভাবিক হচ্ছে সিরিয়ার জীবনযাত্রা, গতি ফিরেছে ব্যবসা-বাণিজ্যে
ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে সিরিয়ার জীবনযাত্রা। শ্রেণিকক্ষে ফিরছে শিক্ষার্থীরা। দেশে আসছে উদ্বাস্তু হওয়া সিরিয়াবাসী। গতি ফিরেছে ব্যবসা-বাণিজ্যে। এরইমধ্যে সিরিয়ার পুনর্গঠনে সহায়তা দিতে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

১২ বছর পর সিরিয়ায় কার্যক্রম শুরু তুরস্ক দূতাবাসের
দীর্ঘ ১২ বছর পর সিরিয়ায় আবারও আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করলো তুরস্ক দূতাবাস। রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত দূতাবাসে উত্তোলন করা হয় তুর্কি পতাকা।

সরকার পতনের পর প্রথম শুক্রবার বিজয় উদযাপন সিরীয়দের
স্বৈরাচার আসাদ পরিবারের ৫৩ বছরের শাসন পতনের পর প্রথম শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিজয় উদ্যাপন করলেন সিরীয়রা। দামেস্ক ও আলেপ্পোসহ প্রতিটি শহরেই উল্লাসে মেতেছেন লাখ লাখ মানুষ। এদিকে সরকার পরিবর্তনের পর অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি সিরিয়ায় বসবাস করা সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও শিয়াপন্থী বাসিন্দারা। তবে সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাসের আশ্বাস দিয়েছেন বিদ্রোহী পক্ষের বাসিন্দারা।

আসাদের মাদক সাম্রাজ্যের আস্তানা ভাঙতে মরিয়া বিদ্রোহীরা
বাশার আল আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ায় বেরিয়ে আসছে ভয়ংকর মাদক-ক্যাপ্টাগনের আস্তানাগুলো। ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্টের ভয়ংকর এই মাদক সাম্রাজ্যের ইতি টানতে উঠেপড়ে লেগেছেন বিদ্রোহীরা। তবে আসাদ সরকারের মাদক নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে সিরিয়ার অর্থনীতিকে চাঙা করতে নতুন প্রশাসন কোন পথে হাটবে তা এখন বড় প্রশ্ন। চ্যালেঞ্জ যাই হোক, টালমাটাল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবার আগে মুক্ত-বাজার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

'প্রতিবেশিদের যৌথ চক্রান্তের ফল আসাদ সরকারের পতন'
যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল এবং সিরিয়ার প্রতিবেশিদের যৌথ চক্রান্তের ফল, বাশার আল-আসাদের পতন বলে মন্তব্য করলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তেহরানের কাছে এটির প্রমাণ আছে উল্লেখ করে, অঞ্চলটিতে কিছুতেই যুক্তরাষ্ট্রের ভিত গাড়ার পরিকল্পনা সফল হতে দেয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ার করেছেন তিনি। এখন ইসরাইলি আগ্রাসনে সিরিয়া আরও বেশি অস্থিতিশীল হওয়ার শঙ্কা ক্ষমতাচ্যুত আসাদের আরেক মিত্র রাশিয়ার।

'আসাদ সরকার পতনের পেছনে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল ও এক প্রতিবেশী রাষ্ট্রের হাত'
বাশার আল আসাদ সরকার পতনের পেছনে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল ও এক প্রতিবেশী রাষ্ট্রের হাত ছিল। যার প্রমাণ রয়েছে ইরানের কাছে। আজ (বুধবার, ১১ ডিসেম্বর) এমন অভিযোগ করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি।

নিরাপত্তা অজুহাতে সিরিয়ায় সর্বোচ্চ সংখ্যক হামলা ইসরাইলের
বাশার আল আসাদ সরকারের পতনের পর থেকে নিজ দেশের নিরাপত্তাকে কারণ দেখিয়ে সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে সর্বোচ্চ সংখ্যক হামলা করেছে ইসরাইল। নিরাপত্তা দেয়ার নাম করে দামেস্কের কাছেই সেনা মোতায়েন করেছে তেল আবিব। এদিকে দেশ স্বৈরশাসকমুক্ত করা সশস্ত্র গোষ্ঠী হায়াত তাহরীর আল শামের নাম সশস্ত্র সংগঠনের তালিকা থেকে বাদ দেয়ার চিন্তা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন অবস্থায় দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুনঃস্থাপনে দেশের মানুষকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকার।

আসাদের ‘কসাইখানা’ থেকে মুক্ত হচ্ছেন নির্যাতিত সিরীয়রা
স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদের পতনের পর বিদ্রোহীরা সিরিয়ার কারাগারগুলো খুলে দিয়েছেন। এসব কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন বছরের পর বছর ধরে কারাবন্দি থাকা হাজার হাজার সিরীয় নাগরিক। বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদে উঠে আসছে আসাদের কসাইখানা হিসেবে পরিচিত সেদনায়া কারাগারসহ বেশ কয়েকটি কারাগারে বন্দিদের নির্মম নির্যাতন আর হত্যার রোমহর্ষক বর্ণনা। ধারণা করা হচ্ছে, এখনও কারাগারের নিচে রয়েছেন অনেক বন্দি। কারাগারগুলোতে জীবিত মানুষ খুঁজছে সিরিয়ার মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

সিরিয়ায় থাকা ইরানপন্থি মিলিশিয়া ঘাঁটিতে ইসরাইলের হামলা
বাশার আল আসাদ সরকার পতনের পর নিজেদের জন্য হুমকি বিবেচনায় সিরিয়ায় থাকা ইরানপন্থি মিলিশিয়া ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এমনকি গোলান মালভূমির সিরিয়া-ইসরাইল সীমান্তের বাফার জোন দখলে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু।

মাত্র ১২ দিনেই আসাদের ২৪ বছরের সাম্রাজ্যের পতন
সিরিয়ার সরকার বিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল শামের জোরালো হামলার মুখে মাত্র ১২ দিনেই পতন হয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের ২৪ বছরের সাম্রাজ্যের। যিনি এখন দেশ ছেড়ে পালিয়ে পরিবারসহ অবস্থান করছেন রাশিয়ায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।

আসাদ পতনের পর সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা
আসাদের পতনের পর সিরিয়ার ভবিষ্যৎ কী? কার হাতে যাবে দেশের নেতৃত্ব? বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেয়া এইচটিএসের প্রধান জোলানিই কি শেষ পর্যন্ত বসবেন দামেস্কের মসনদে? জঙ্গি সংগঠন থেকে দেশের অন্যতম প্রভাবশালী শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হওয়া এইচটিএসকে নিয়ে আঞ্চলিক শক্তিগুলোই বা কী ভাবছে?