জানা যায়, গতকাল শেরপুর সদর উপজেলার গনইমমিনাকান্দা গ্রামের ষাটোর্ধ্ব নিরক্ষর মহিলা শাহিনা বেগম উত্তরা ব্যাংকে ২ লাখ ৬৯ হাজার টাকা জমা দিতে যান। ব্যাংক টাকা গুনে নেয়ার সময় দেখতে পায় ওই টাকাগুলোর মধ্যে ৫৩টি ১ হাজার টাকার নোট জাল।
আরও জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) দুপুরের পর শেরপুর সোনালী ব্যাংকে নুহূ নামে এক ব্যক্তি সরকারি চালানের ২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা জমা দিতে যান। ব্যাংক টাকা নেয়ার সময় ২৫টি ১ হাজার টাকার জাল নোট শনাক্ত করে।
নুহূ জানায়, ওই টাকা তিনি শেরপুর প্রধান ডাকঘর থেকে তুলে পরে ব্যাংকে জমা দিতে যান। এ নিয়ে সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার ডাকঘরের কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন।
এর ৭ দিন আগে সম্রাট নামের এক যুবক ডাচ-বাংলা ব্যাংকে ১০ হাজার টাকা কার্ড দিয়ে তুলে একটি ১ হাজার টাকার জাল নোট পান।
জানা যায়, গত এক সপ্তাহে অন্তত ৬ ব্যক্তি জাল টাকা পেয়েছেন। কিন্তু কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি।
উত্তরা ব্যাংকের ক্যাশিয়ার মাহবুর রহমান জানান, বৃদ্ধা মহিলা মাহিনার জমা দেয়া টাকার মধ্যে ১ হাজার টাকার ৫৩টি জাল নোট ছিল।
শাহীনাকে যিনি টাকা বুঝিয়ে দিয়েছেন পোস্ট অফিসের পোস্টাল অফিসার মানিক মিয়া বলেন, ‘পাঁচ দিন আগে এক পার্টি টাকা জমা দেয়, আমরা আরেক পার্টিকে টাকা বুঝিয়ে দিই। আমি টাকা গুনে সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে তার পাওনা বুঝিয়ে দিয়েছি। আমার মধ্যে কোনো দুর্বলতা নেই।’
শেরপুর প্রধান ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার খন্দকার নূর কুতুবুল আলম বলেন, ‘বিষয়টি জানার পরই আমি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছি। সিসি ক্যামেরা দেখে ব্যবস্থা নেয়াসহ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কাকন রেজা বলেন, ‘জাল টাকার বিষয়টি স্পর্শকাতর। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। তাই এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি নজরে এসেছে। তবে কেউ অভিযোগ করেনি। তথাপি বিষয়টি পুলিশের নজরে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উচিত ছিল সঙ্গে সঙ্গেই বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা।’





