কুরস্ক-অঞ্চল

কুরস্কে হামলার জবাবে চেরনিহিভে রুশ অভিযান, গ্যাস সংকটে মলদোভা

রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনীয় বাহিনী ব্যাপক হামলা চালানোর পর কিয়েভের উত্তরে থাকা আবাসিক এলাকা চেরনিহিভে হামলা তৎপড়তা বাড়িয়েছে মস্কো। নতুন বছরের প্রথম তিনদিনে ইউক্রেনের লক্ষ্যবস্তুতে রাশিয়া ৩শ'টি ড্রোন এবং প্রায় ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে দাবি প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির। এদিকে ইউক্রেন হয়ে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় বিপাকে মলদোভার বাসিন্দারা। গ্যাস ট্রানজিট ফি বাবদ বছরে প্রায় ৮০ কোটি ডলার ক্ষতির সম্মুখীন ইউক্রেন।

‘কোরীয় সেনাদের বেঁচে থাকা নিশ্চিতে রাশিয়া-কোরিয়ার কোনো আগ্রহ নেই’

ইউক্রেনের বিরুদ্ধ লড়াইয়ে কোরীয় সেনাদের বেঁচে থাকা নিশ্চিতে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার কোনো আগ্রহ নেই বলে অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তাদের বলিযোগ্য সেনা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছে হোয়াইট হাউজও। এদিকে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইউক্রেনে পৌঁছালো এলএনজির চালান।

কুরস্কে মাটি আঁকড়ে থাকতে সেনা সদস্যদের নির্দেশ জেলেনস্কির

রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের আধিপত্য ধরে রাখতে লোকবল ও সামরিক সরঞ্জাম সংকটে আছে ইউক্রেনীয় সেনারা। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের আগ পর্যন্ত কুরস্কের মাটি আঁকড়ে ধরে থাকতে সেনা সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছে কিয়েভ। এদিকে, ন্যাটোর সদস্যপদ নিয়ে আবারও দুঃসংবাদ পেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। যদিও আকাশ প্রতিরক্ষ ব্যবস্থা উন্নত করতে ন্যাটোর সাহায্য চেয়েছে কিয়েভ।

ইউক্রেনীয় অভিযানের পর আবারও ঘুরে দাঁড়ালো রাশিয়া

কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনীয় সেনাদের সফল অভিযানের পর আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রুশ সেনাবাহিনী জানায়, চলতি সপ্তাহে ইউক্রেনীয় বাহিনীর অধীনস্থ শিল্পাঞ্চল, জ্বালানি উৎপাদন কেন্দ্র এবং সামরিক বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করে সফল হামলা চালানো হয়েছে। এদিকে, শুক্রবার জাপোরিঝিয়ায় রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাইরে গাড়িবোমা বিস্ফোরণে এক রুশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছে। হামলার দায় স্বীকার করে ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা জানায়, একজন যুদ্ধাপরাধীকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবেই এই অপারেশন চালানো হয়েছে।

রাশিয়ায় সেম নদীর একটি সেতু ধ্বংসের দাবি ইউক্রেনের

রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের সেম নদীর উপরে থাকা আরও একটি সেতু ধ্বংসের দাবি করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। ইউক্রেনের অভিযান চালানোর জন্য এসব সেতু দিয়ে ক্রেমলিন অস্ত্র সরবরাহ করতো।

রাশিয়ার হুমকি উপেক্ষা; কুরস্কে অবস্থান ইউক্রেনীয় সেনাদের

এ যেন মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে জেলেনস্কি প্রশাসনের সেনা অনুপ্রবেশের ঘটনা যেন সেটাই প্রমাণ করে। রাশিয়ার হুমকি উপেক্ষা করে বীরদর্পে এখনও কুরস্কে অবস্থান করছেন ইউক্রেনীয় সেনারা। রুশ ভূখণ্ডে পরিকল্পিত হামলায় ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ভাসছে সামরিক বিশ্লেষকদের প্রশংসায়। এদিকে, এই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত, এমন অভিযোগ আনার আগেই ওয়াশিংটন বলছে, এই হামলার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।