বিদেশে এখন
0

‘কোরীয় সেনাদের বেঁচে থাকা নিশ্চিতে রাশিয়া-কোরিয়ার কোনো আগ্রহ নেই’

ইউক্রেনের বিরুদ্ধ লড়াইয়ে কোরীয় সেনাদের বেঁচে থাকা নিশ্চিতে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার কোনো আগ্রহ নেই বলে অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তাদের বলিযোগ্য সেনা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছে হোয়াইট হাউজও। এদিকে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইউক্রেনে পৌঁছালো এলএনজির চালান।

রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমে ব্যাপক হতাহতের শিকার হচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার সেনারা। এমনকি গেল সপ্তাহের যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার এক হাজার সেনা নিহত বা আহত হয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা তথ্যের বরাতে এমন দাবি করছে যুক্তরাষ্ট্র।

একই দাবি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিরও। গুরুতর আহত অবস্থায় উত্তর কোরিয়ার বেশ কয়েকজন সেনাকে আটক করে আনার পর তারা নিহত হয়েছেন বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি। এ অবস্থায় কোরীয় সেনারা বেঁচে থাক, তা চাইছে না রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়া কর্তৃপক্ষ; এমন মন্তব্যও করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনী মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তাদের অনেক লোকসান আছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার সামরিক তত্ত্বাবধায়কেরা কোরীয় সেনাদের বেঁচে থাকা নিশ্চিতের বিষয়ে আগ্রহী নয়। এমন উদাহরণও রয়েছে যেখানে তারা তাদের নিজ বাহিনীর সদস্যদের মৃত্যুদণ্ড দেয়। রাশিয়ানরা তাদের খুব কম সুরক্ষা দিয়ে যুদ্ধের মাঠে পাঠাচ্ছে।’

এদিকে, প্রায় একই মন্তব্য করেছে হোয়াইট হাউজও। কিয়েভ ও ওয়াশিংটনের মন্তব্যের জবাবে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি পিয়ংইয়ং। এছাড়া এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে রাশিয়ার জাতিসংঘ মিশন।

এমন যুদ্ধ উত্তেজনার মধ্যেই ইউক্রেনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ নতুন সামরিক সহায়তা অনুমোদনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে মার্কিন সুরক্ষা সহায়তা প্যাকেজটি ঘোষণার আশ্বাস দিয়েছে হোয়াইট হাউজ।

যুদ্ধের মধ্যেও বহু বিলিয়ন-ইউরো চুক্তির অধীনে ইউক্রেন জুড়ে গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া। তবে এই বছরের শেষের দিকে চুক্তিটি শেষ হলে, নতুন করে চুক্তি নবায়ন করবে না মস্কো। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রথম চালান পৌঁছেছে ইউক্রেনে। এর মধ্য দিয়ে রাশিয়ার সাথে গ্যাস চুক্তি শেষ হওয়ার পরপরই ইউক্রেনীয় এবং ইউরোপীয় জ্বালানি নিরাপত্তা বাড়বে বলে দাবি কিয়েভের।

এদিকে ভ্লাদিমির পুতিনের ইশারায় চলে অভিযোগ থাকলেও রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যেকোনো শান্তি আলোচনার আয়োজনে প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়েছে স্লোভাকিয়া। ইতোমধ্যে শান্তি আলোচনায় বসার আভাস দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনও। এছাড়াও, জানুয়ারিতে ক্ষমতা বুঝে পাওয়ার পর যুদ্ধ বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলে রেখেছেন নব নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই অবস্থায় মস্কোর অনুকূল শর্তে যুদ্ধ নিষ্পত্তির জন্য চাপ আসে কি-না তা নিয়ে উদ্বিগ্ন কিয়েভ।

ইএ