
হানিয়ার মৃত্যুর দায় অস্বীকার ইসরাইলের, সাক্ষ্য দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
হামাস নেতা হানিয়ার মৃত্যুতে ফুঁসে উঠছে মধ্যপ্রাচ্য। প্রতিবাদ ও বিক্ষোভে নেমেছে তুর্কিয়ে, লেবানন, তিউনিশিয়াসহ মধ্যেপ্রাচ্যের অনেক দেশ। এদিকে হানিয়ার মৃত্যুর জন্য ইসরাইলকে দায়ী করলেও তা অস্বীকার করছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রও বলছে তারা এই হত্যাকাণ্ডের জড়িত না।

হামাস নেতা হানিয়ার মৃত্যুতে উৎসবে মেতেছে ইসরাইল
হামাস নেতা হানিয়ার মৃত্যুতে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। এমন হত্যাকে কাপুরুষোচিত ও অগ্রহণযোগ্য বলেছে রাশিয়া, চীনসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ ও সংগঠন। ফিলিস্তিনিদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আব্বাস। এদিকে হানিয়ার মৃত্যুতে রীতিমতো উৎসবে মেতেছে ইসরাইল।

'শিগগিরই ইসরাইলে হামলা চালাবে ইরান'
সামরিক শক্তিমত্তার দিক দিয়ে ইসরাইল থেকে এগিয়ে থাকলেও তেল আবিবের হামলায় প্রতিনিয়ত প্রাণহানি ঘটছে ইরান সংশ্লিষ্ট শীর্ষ ব্যক্তিদের। ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার মাধ্যমে আবারো সামনে এলো প্রসঙ্গটি। নিজ দেশে হামাসের শীর্ষ নেতাকে বাঁচাতে না পারার ব্যর্থতা ঢাকতে শিগগিরই ইসরাইলে হামলা চালাবে ইরান, এমনটাই দাবি বিশ্লেষকদের।

ইসমাইল হানিয়ার হামাস প্রধান হওয়ার গল্প
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া, পুরো নাম ইসমাইল আবদুস সালাম আহমেদ হানিয়া। হামাসের মধ্যে সামরিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ না হলেও রাজনৈতিকভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছিলেন তিনি। হামাসের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের দায়িত্ব পালন থেকে শুরু করে গাজায় জিম্মি ও যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে মিশরীয় ও কাতারি মধ্যস্থতাকারীদের সাথে মূল আলোচক ছিলেন ইসমাইল হানিয়া।

তেহরানে সেনাবাহিনীর ভবনে হত্যা করা হয় হানিয়াকে
সৌদি আরব বলছে, ইরানের রাজধানী তেহরানে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ ভবনে অবস্থান করছিলেন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া। সেখানেই নিজের দেহরক্ষীর সঙ্গেই টার্গেট করে গাইডেড মিসাইল ছুঁড়ে তাকে হত্যা করা হয়। হামাস বলছে, ইসরাইলই এ হামলা চালিয়েছে। বদলা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে সশস্ত্র সংগঠনটি। তবে এ ব্যাপারে একেবারেই নীরব ইসরাইল।