বিদেশে এখন
0

তেহরানে সেনাবাহিনীর ভবনে হত্যা করা হয় হানিয়াকে

সৌদি আরব বলছে, ইরানের রাজধানী তেহরানে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ ভবনে অবস্থান করছিলেন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া। সেখানেই নিজের দেহরক্ষীর সঙ্গেই টার্গেট করে গাইডেড মিসাইল ছুঁড়ে তাকে হত্যা করা হয়। হামাস বলছে, ইসরাইলই এ হামলা চালিয়েছে। বদলা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে সশস্ত্র সংগঠনটি। তবে এ ব্যাপারে একেবারেই নীরব ইসরাইল।

ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের দায়িত্ব গ্রহণ উপলক্ষে তেহরান গিয়েছিলেন হানিয়া। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ইসরাইল। হানিয়াকে হত্যার পেছনে দায়ীদের ছেড়ে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছে হামাস।

মারা যাওয়ার আগে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) শেষবারের মতো জনসম্মুখে দেখা গেছে হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়াকে। ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে তেহরান এসেছিলেন তিনি।

এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। যদিও এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি তেল আবিব।

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘটনায় ইসরাইল দায় স্বীকার না করলেও মধ্যপ্রাচ্যে বেড়ে গেল যুদ্ধের আশঙ্কা। এখন ত্রিমুখী যুদ্ধ লাগতে পারে লেবানন, ইরান আর ইসরাইলের মধ্যে। 

ইসরাইল সরাসরি কোন মন্তব্য না করলেও টুইটারে অনেক মন্ত্রীই এই হত্যাকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আর হামাস জানিয়েছে, হানিয়ার হত্যাকারীকে অবশ্যই শাস্তি দেয়া হবে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তেহরান।

হামাসের নেতা হিসেবে ইসমাইল হানিয়া সারাবিশ্বেই পরিচিত মুখ। ১৯৮৭ সালে সশস্ত্র গোষ্ঠীটিতে যোগ দেন তিনি। যখন ফিলিস্তিনে প্রথম ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইন্তিফাদা শুরু হয়। ২০১৭ সালে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান হিসেবে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়। ২০১৮ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৬ সাল থেকে কাতার আর তুর্কিয়েতে থাকছেন তিনি।

ইএ