ইউক্রেনীয়-সেনা

কুরস্কে মাটি আঁকড়ে থাকতে সেনা সদস্যদের নির্দেশ জেলেনস্কির

রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের আধিপত্য ধরে রাখতে লোকবল ও সামরিক সরঞ্জাম সংকটে আছে ইউক্রেনীয় সেনারা। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের আগ পর্যন্ত কুরস্কের মাটি আঁকড়ে ধরে থাকতে সেনা সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছে কিয়েভ। এদিকে, ন্যাটোর সদস্যপদ নিয়ে আবারও দুঃসংবাদ পেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। যদিও আকাশ প্রতিরক্ষ ব্যবস্থা উন্নত করতে ন্যাটোর সাহায্য চেয়েছে কিয়েভ।

ইউক্রেনীয় অভিযানের পর আবারও ঘুরে দাঁড়ালো রাশিয়া

কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনীয় সেনাদের সফল অভিযানের পর আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রুশ সেনাবাহিনী জানায়, চলতি সপ্তাহে ইউক্রেনীয় বাহিনীর অধীনস্থ শিল্পাঞ্চল, জ্বালানি উৎপাদন কেন্দ্র এবং সামরিক বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করে সফল হামলা চালানো হয়েছে। এদিকে, শুক্রবার জাপোরিঝিয়ায় রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাইরে গাড়িবোমা বিস্ফোরণে এক রুশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছে। হামলার দায় স্বীকার করে ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা জানায়, একজন যুদ্ধাপরাধীকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবেই এই অপারেশন চালানো হয়েছে।

রাশিয়ার ৫৮টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে ইউক্রেন

ইউক্রেনীয় সেনাদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে ছোঁড়া রাশিয়ার ৬৭টি ড্রোনের মধ্যে ৫৮টিকে ভূপাতিত করেছে জেলেনস্কির সেনারা। স্কাই নিউজ জানায়, শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ইউক্রেনের ১১টি অঞ্চলে কয়েক দফায় ড্রোন হামলা চালায় পুতিন বাহিনী।

ইউক্রেনে ৫১ জনের মৃত্যু, পশ্চিমাঞ্চলে প্রাণ গেছে আরও সাতজনের

পুরোদমে সংঘাত চলছে ইউক্রেন -রাশিয়ার মধ্যে। রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মধ্য ইউক্রেনে ৫১ জনের মৃত্যুর পর পশ্চিমাঞ্চলে হামলায় প্রাণ গেছে আরও সাতজনের। রুশ অঞ্চল কুরস্কে ইউক্রেনীয় সেনা অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকলেও দোনেৎস্কে সেনা অভিযান আরও বাড়িয়েছে রাশিয়া। এরমধ্যেই ইউক্রেনের মন্ত্রিসভায় এসেছে বড় ধরনের পরিবর্তন।

কুরস্কে ইউক্রেনীয় সেনাদের অনুপ্রবেশ, সেনা সংকটে ভুগছে মস্কো

রাশিয়ার কুরস্কে ইউক্রেনীয় সেনাদের অনুপ্রবেশের পর থেকেই সেনা সংকটে ভুগছে মস্কো। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে অনবরত হামলা চালিয়ে গেলেও মাত্র দুই সপ্তাহেই নতুন করে কুরস্কের আরও বেশ কিছু এলাকা দখলে নিয়েছে কিয়েভ। বাধ্য হয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে সেনা নিয়োগ দিচ্ছে মস্কো। এই ঘটনায় নিজ ভূখণ্ড রক্ষা কিংবা ইউক্রেনে সেনা সক্ষমতা বাড়ানো, এই দুই সিদ্ধান্তের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে রুশ প্রশাসন।

রুশ ভূখণ্ডে সেনা অনুপ্রবেশ: চ্যালেঞ্জের মুখে পুতিন প্রশাসন

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম সেনা অনুপ্রবেশ করেছে রুশ ভূখণ্ডে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দেশের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে আশ্বস্ত করলেও সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশে ইউক্রেনীয় সেনাদের অনুপ্রবেশে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে পুতিন প্রশাসন। তারা বলছেন, এই ঘটনায় দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বানানো পুতিনের ইমেজে ভাটা পড়েছে। কুরস্কে সেনা অনুপ্রবেশের মধ্য দিয়ে ইউক্রেন গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে বলেও মত তাদের।

রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের একটি শহর দখল নিলো ইউক্রেন

রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের একটি শহর দখল নিয়েছে ইউক্রেন। শুধু তাই নয়, সেখানে সামরিক কার্যালয় স্থাপন করেছে কিয়েভের সেনাবাহিনী। শহরের খুব কাছেই রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহের টার্মিনাল থাকায় ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে, রাশিয়ার অভ্যন্তরে ইউক্রেনের হঠাৎ হামলা, পশ্চিমা সমরাস্ত্রের ব্যবহারে জো বাইডেন পড়ে গেছেন উভয় সংকটে।

রাশিয়ার হুমকি উপেক্ষা; কুরস্কে অবস্থান ইউক্রেনীয় সেনাদের

এ যেন মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে জেলেনস্কি প্রশাসনের সেনা অনুপ্রবেশের ঘটনা যেন সেটাই প্রমাণ করে। রাশিয়ার হুমকি উপেক্ষা করে বীরদর্পে এখনও কুরস্কে অবস্থান করছেন ইউক্রেনীয় সেনারা। রুশ ভূখণ্ডে পরিকল্পিত হামলায় ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ভাসছে সামরিক বিশ্লেষকদের প্রশংসায়। এদিকে, এই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত, এমন অভিযোগ আনার আগেই ওয়াশিংটন বলছে, এই হামলার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।