
মস্কোতে বসেই সিরিয়ায় প্রভাব পুনরুদ্ধারের চেষ্টা আসাদ সরকারের
মস্কোতে বসেই সিরিয়ায় নিজেদের হারানো প্রভাব পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছেন ক্ষমতাচ্যুত আসাদ সরকারের দুই ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি। রাশিয়া, লেবানন ও আমিরাতে গড়ে তোলা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সিরিয়ায় বিদ্রোহী গোষ্ঠী গঠনে অর্থায়ন চালু রেখেছেন তারা। তবে দেশ-বিদেশে গড়ে ওঠা গুপ্ত নেটওয়ার্কের ষড়যন্ত্র রুখে দেয়ার কথা জানিয়েছে শারা প্রশাসন।

বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে প্রথম বৈঠক সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট শারার
আসাদ সরকারের পতনের পর প্রথমবারের মতো বিদেশি কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করলেন সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল শারা। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) আঙ্কারায় প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন তিনি।

সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতনের এক মাস
সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতনের এক মাস পেরিয়ে গেলেও স্বস্তি নেই জনমনে। ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম বলছে, দেশটিতে প্রতিদিন ক্ষুধার সাথে লড়াই করছে অন্তত ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র মানবিক সহায়তার প্রশ্নে সাময়িকভাবে সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পরিকল্পনা জানালেও বিশেষজ্ঞদের দাবি, অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়ানো সহজ হবে না।

যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি প্রতিবেশি দেশ জর্ডানের
যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে প্রতিবেশি দেশ জর্ডান। এছাড়া, সিরিয়ার বন্দর ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের আশ্বাস দিয়েছে আরব রাষ্ট্র কাতার। এদিকে, কুর্দি মিলিশিয়াদের সিরিয়া থেকে বিতাড়িত করতে অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। গোলান মালভূমির বাফার জোনে প্রবেশ করেছে ইসরাইলি বাহিনী। আসাদ সরকারের পতনের পর সম অধিকারের দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছে সিরিয়ার নারীরা।

তালিবানের মতো শাসন পরিচালনা করা হবে না সিরিয়ায়
আফগানিস্তান ও সিরিয়ার সংস্কৃতি ভিন্ন। তাই তালিবানের মতো শাসন পরিচালনা করা হবে না সিরিয়ায়। এমনকি নিশ্চিত করা হবে নারীদের শিক্ষা ও মানবাধিকার। স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদের পতনের পর প্রথম সাক্ষাৎকারে এমনটাই দাবি করেছেন আবু মোহাম্মাদ আল জুলানি। সিরিয়া ও এইচটিএসের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতেও পশ্চিমাদের কাছে আহ্বান জানান গোষ্ঠীটির প্রধান। এদিকে আগ্রাসনের মধ্যে সিরিয়ার কুনেইত্রা প্রদেশের ৯৫ শতাংশ এলাকা দখল করে নিয়েছে ইসরাইল।

সিরিয়ার স্থিতিশীলতা ফেরাতে একসঙ্গে কাজ করবে তুরস্ক ও লেবানন
আসাদ সরকার পতনের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার স্থিতিশীলতা ফেরাতে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছে তুরস্ক ও লেবানন।

স্বাভাবিক হচ্ছে সিরিয়ার জীবনযাত্রা, গতি ফিরেছে ব্যবসা-বাণিজ্যে
ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে সিরিয়ার জীবনযাত্রা। শ্রেণিকক্ষে ফিরছে শিক্ষার্থীরা। দেশে আসছে উদ্বাস্তু হওয়া সিরিয়াবাসী। গতি ফিরেছে ব্যবসা-বাণিজ্যে। এরইমধ্যে সিরিয়ার পুনর্গঠনে সহায়তা দিতে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

গাজায় গণহত্যা আরো বাড়িয়েছে ইসরাইল
সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতনের পর গাজায় গণহত্যা আরো বাড়িয়েছে ইসরাইল। একদিনেই উপত্যকায় ৭১ জন বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ পরিস্থিতিতেই যুদ্ধবিরতি নিয়ে আশার বাণী দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলছেন, যুদ্ধবিরতির জন্য প্রস্তুত ইসরাইল, এখন শুধু হামাসের জবাবের অপেক্ষা। কিন্তু গাজায় ইসরাইলি বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে সরকার উদাসীন, এমন দাবি করে তেল আবিবে মার্কিন কনস্যুলেটের সামনে বিক্ষোভ করেছেন ইসরাইলের সাধারণ মানুষ।

'আসাদ সরকার পতনের পেছনে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল ও এক প্রতিবেশী রাষ্ট্রের হাত'
বাশার আল আসাদ সরকার পতনের পেছনে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল ও এক প্রতিবেশী রাষ্ট্রের হাত ছিল। যার প্রমাণ রয়েছে ইরানের কাছে। আজ (বুধবার, ১১ ডিসেম্বর) এমন অভিযোগ করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি।

কারাগার থেকে সব বন্দিদের মুক্তি দিয়েছে সিরিয়ার বিদ্রোহীরা
কেউ ৫ বছর, কেউবা ৪০ বছর। কেবল স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় সিরিয়ার কারাগারে বছরের পর বছর কাটিয়েছেন মানবেতর জীবন। আসাদ সরকারের পতনের পর বিদ্রোহীরা কারাগার থেকে সব বন্দিদের মুক্ত করে দিলেও অমানবিক নির্যাতনের কারণে কেউ হারিয়ে ফেলেছেন স্মৃতিশক্তি, কেউ ভুলে গেছেন নিজের নামও। প্রায় দেড় লাখ কারাবন্দিকে মুক্ত করলেও এখনও নিখোঁজ অনেকে।

সিরিয়ায় থাকা ইরানপন্থি মিলিশিয়া ঘাঁটিতে ইসরাইলের হামলা
বাশার আল আসাদ সরকার পতনের পর নিজেদের জন্য হুমকি বিবেচনায় সিরিয়ায় থাকা ইরানপন্থি মিলিশিয়া ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এমনকি গোলান মালভূমির সিরিয়া-ইসরাইল সীমান্তের বাফার জোন দখলে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু।

আসাদের পতনে বিভিন্ন দেশে বিজয় উল্লাসে সিরিয়ানরা
স্বৈরশাসক আসাদ সরকারের পতনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিজয় উল্লাসে মেতেছেন সিরিয়ানরা। ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধে অন্যদেশে আশ্রয় নেয়া হাজারও শরণার্থী ফিরতে চান নিজ দেশে। অন্ধকার যুগের অবসান পেরিয়ে এবার ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও মর্যাদা রক্ষায় নতুন যুগের সূচনা হবে বলে মন্তব্য তাদের।