অভিবাসন ব্যয়ের চাপে বিদেশে পাঠানো যাচ্ছে না পর্যাপ্ত শ্রমিক
বিদেশের শ্রমবাজার সম্প্রসারিত হওয়ায় বদলে যাচ্ছে দেশের গ্রামীণ অর্থনীতি। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও দক্ষিণ কোরিয়ায় চাহিদা থাকলেও কোটা অনুযায়ী সেখানে শ্রমিক পাঠাতে পারছে না বাংলাদেশ। অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অভিবাসন ব্যয়ের কারণে দক্ষতা থাকলেও অনেকেই যেতে পারেন না বিদেশে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে অভিবাসন ব্যয় কমানোর পাশাপাশি অবৈধ রেমিট্যান্স লেনদেনের লাগাম টানার তাগিদ সংশ্লিষ্টদের।
নানা প্রতিবন্ধকতায় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার
নানামুখী জটিলতায় ভুগছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। দেশটিতে প্রবেশের সবশেষ সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে ৩১ মে। তবে কর্মী পাঠানো বন্ধ হবে না বলে আশ্বাস প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর। নতুন করে কোটা পেতে দেশটির সাথে আলোচনা চলছে বলেও জানান তিনি।
অভিবাসন ব্যয়ের বিপরীতে প্রবাসী আয় কম
সরকার নির্ধারিত খরচে বাংলাদেশি কর্মীদের বিদেশ পাড়ি দেয়া অনেকটা স্বপ্নের মতো। কিন্তু মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যে তা যেন ফিকে হয়ে যায়। পরিসংখ্যান বলছে, একজন বাংলাদেশিকে বিদেশ পাড়ি দিতে গড়ে খরচ করতে হয় ৪ লাখেরও বেশি টাকা। অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাড়তি ব্যয় কমাতে রিক্রুটিং ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজন কঠোর নজরদারি। এদিকে, জিটুজি চুক্তি মেনে অভিবাসন ব্যয় কমানোর আশ্বাস প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে অভিবাসন ব্যয় বাড়ছে
বহির্বিশ্ব থেকে রেমিট্যান্স পাঠানোয় এখনও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসীরা শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। যদিও ক্রমাগতই অভিবাসন ব্যয় বাড়ছে। প্রবাসীরা বলছেন, অতিরিক্ত বিমান ভাড়া ও মধ্যস্বত্বভোগীরাই এজন্য দায়ী।