প্রবাস
অর্থনীতি
সংযুক্ত আরব আমিরাতে অভিবাসন ব্যয় বাড়ছে
বহির্বিশ্ব থেকে রেমিট্যান্স পাঠানোয় এখনও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসীরা শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। যদিও ক্রমাগতই অভিবাসন ব্যয় বাড়ছে। প্রবাসীরা বলছেন, অতিরিক্ত বিমান ভাড়া ও মধ্যস্বত্বভোগীরাই এজন্য দায়ী।

চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসেই দেশটি থেকে ৩২৭ কোটি ৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। একই সময়ে প্রধান শ্রমবাজার সৌদি আরব থেকে এসেছে ১৯৬ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। সৌদি আরবের সঙ্গে আমিরাত থেকে আসা রেমিট্যান্স প্রবাহের ব্যবধান ৬০ শতাংশের বেশি। কেবল মার্চ মাসের হিসাবে শীর্ষ ১০টি রেমিট্যান্স প্রেরণকারী দেশের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে আরব আমিরাত প্রবাসীরা।

রেমিট্যান্স প্রবাহে এগিয়ে থাকলেও অভিবাসন ব্যয়ের ক্ষেত্রে চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বাংলাদেশিদের। বিশেষ করে, দেশটিতে যেতে আগ্রহীদের জন্য এই চাপ পাহাড় সমান বোঝা। ২০ থেকে ২৫ বছরের ব্যবধানে ক্রমাগতই অভিবাসন ব্যয়ের হার বাড়ছে।

চট্টগ্রামের রফিক মিয়া, সাত বছর জাহাজে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে ১৯৮৭ সালে আমিরাতে আসেন। সে সময় তার ভিসা ও টিকিট বাবদ মাত্র ৫৯ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল। আর চট্টগ্রামের মোহাম্মদ নাজিম ১৯৯২ সালে আসেন। শুরুতে চাকরি করলেও পরে ব্যবসা শুরু করেন তিনি। তারও দেশটিতে আসতে খরচ হয়েছে সমপরিমাণ অর্থ। অথচ গত কয়েকবছরে দেশটিতে গিয়ে কাজ পাওয়া পর্যন্ত গুণতে হচ্ছে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা।

মোহাম্মদ নাজিম বলেন, ‘এখানে আসার পরে পাঁচ বছর কাজ করেছি। এরপর নিজেই ব্যবসা শুরু করি। আগে তো কাজ পাওয়ার পরিস্থিতি ভালো ছিল, এখন তো ভালো নেই।’

এদিকে শুরুতেই কাজ না পাওয়ায় বিদেশে আসার খরচের পাশাপাশি পারিবারিক চাহিদা মেটাতেও চাপে পড়ে যান প্রবাসীরা।

দুবাই আমের সেন্টারের কর্মকর্তা কামাল হোসাইন খান সুমন বলেন, ‘গত এক বছর ধরে বাংলাদেশিদের জন্য শুধু স্কিল ভিসা চালু আছে। বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ভিসাগুলো পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত কিছু খরচ যুক্ত হয়ে যায়।’

সংযুক্ত আরব আমিরাতের সিআইপি শেখ ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে শক্তভাবে নজরদারি করা হয় তাহলে ব্যয় অনেক কমে আসবে।’

নতুন করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যেতে আগ্রহীদের অভিবাসন ব্যয় কমানো ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের নজরদারি চান প্রবাসীরা। তারা বলছেন, অভিবাসন ব্যয় কমানো গেলে বাড়তি চাপ ছাড়াই রেমিট্যান্স প্রবাহে আরও অংশগ্রহণ বাড়াতে পারবেন তারা।

এওয়াইএইচ