লেবানন
লেবাননে আগ্রাসনের মাত্রা বাড়িয়ে তোপের মুখে ইসরাইল
লেবাননে আগ্রাসনের মাত্রা বাড়িয়ে কোণঠাসা হচ্ছে ইসরাইল। নতুন করে ইসরাইলের হামলায় প্রাণ গেছে লেবাননের ২২ নাগরিকের। লেবাননে থাকা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী ইউনিফিলের ওপরও হামলা চালিয়ে মিত্রদের কঠোর সমালোচনা মুখে পড়েছে তেল আবিব। এমনকি লেবাননে ইসরাইলের সামরিক পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের চরম লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে শান্তিরক্ষীরা।
হিজবুল্লাহর দেড় শতাধিক রকেট হামলায় ইসরাইলে নিহত ২
বাসিন্দাদের শহর ছাড়ার নির্দেশ
একদিনে হিজবুল্লাহর দেড় শতাধিক রকেট হামলায় ইসরাইলে কমপক্ষে ২ জন নিহত হয়েছেন। আয়রন ডোমের ব্যর্থতায় সকল বাসিন্দাকে শহর ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। অন্যদিকে লেবাননে ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২ হাজার ১০০। জাতিসংঘ বলছে, লেবাননের এক তৃতীয়াংশ এলাকা থেকেই এখন সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নিতে বলা হচ্ছে। যদিও লেবাননের পরিস্থিতি গাজার মতো হতে দেয়া যাবে না বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এদিকে গত (বুধবার, ৯ অক্টোবর) গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৬৪ জন।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়া জানাতে মরিয়া ইসরাইল
ইরানের ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়া জানাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ইসরাইল। যদিও এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে নেতানিয়াহুর দীর্ঘ ৩০ মিনিটের ফলপ্রসূ ফোনালাপ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস। যুক্তরাষ্ট্র এই সংঘাত বন্ধের আপ্রাণ চেষ্টা করার দাবি করলেও তেহরানের বিরুদ্ধে হুমকি ধামকির মাত্রা উল্টো বাড়িয়েছে তেল আবিব। মারাত্মকভাবে ইরানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। অন্যদিকে উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলো যদি তেহরানের বিরুদ্ধে তেল আবিবকে আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দেয়, তাহলে ভয়াবহ পরিণতির জন্য সতর্ক করেছে ইরান।
লেবাননবাসীকে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের বিষয়ে সতর্ক নেতানিয়াহুর
লেবাননের সাধারণ মানুষকে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের বিষয়ে সতর্ক করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। এরমধ্যেই বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে সেনা অভিযানে বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। আইডিএফ'এর হামলায় লেবাননের দক্ষিণ আর পূর্বাঞ্চল থেকে পালিয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। এরমধ্যেই ইরানের সঙ্গে বাড়ছে ইসরাইলের উত্তেজনা।
ইসরাইলে ক্ষতি হলে ইরানের অবস্থা গাজা-লেবাননের মতো হবে বলে হুঁশিয়ারি
ইসরাইলের কোন ধরনের ক্ষতি করার চেষ্টা করা হলে ইরানের অবস্থা গাজা আর লেবাননের মতো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেল আবিব। এতো হুমকির পরও ইরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ইসরাইলে পাল্টা হামলা জোরালো করেছে। এরমধ্যে দিয়ে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি আগ্রাসনের এক বছরে মধ্যপ্রাচ্যে জুড়ে যুদ্ধের শঙ্কা আরও বাড়ছে। চলমান এই উত্তেজনার মধ্যে ইরানের এলিট ফোর্স কুদস বাহিনী প্রধানের কোনো খোঁজ না পাওয়ায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে তেহরান।
ভোট ভাগ হয়ে যাচ্ছে কামালা-ট্রাম্পের!
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের আগে মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে ক্রমেই মুসলিম ভোটারদের সমর্থন কমছে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কামালা হ্যারিসের। রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিবর্তে এ ভোট যাচ্ছে তৃতীয় দলের ঝুলিতে। এতে ব্যাটল গ্রাউন্ডস খ্যাত অঙ্গরাজ্যগুলোতে ট্রাম্পের চেয়ে পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকিতে পড়েছেন কামালা। অন্যদিকে, অভিবাসীদের গলাধাক্কা দিয়ে দেশে ফেরত পাঠানোর হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।
হিজবুল্লাহর মেরুদণ্ড ভেঙে দেয়ার চেষ্টা ইসরাইলের
দলপ্রধানসহ একের পর এক হাইপ্রোফাইল নেতাকে হত্যার মাধ্যমে হিজবুল্লাহর মেরুদণ্ড ভেঙে দেয়ার চেষ্টা করছে ইসরাইল। কিন্তু তাও ইসরাইলের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রেখেছে গোষ্ঠীটি। বিশ্লেষকরা বলছেন, হিজবুল্লাহ এমন এক চেতনা যাকে পুরোপুরি বাতিল বা নির্মূল করা সম্ভব নয় কখনোই।
ইসরাইলের বিপক্ষে আরেক মিত্র দেশ ফ্রান্স
লড়াই চালানোর হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর
লেবাননে ছয় দিনের স্থল অভিযানে ৪৪০ হিজবুল্লাহ যোদ্ধাকে হত্যার দাবি করছে ইসরাইল। এমনকি হিজবুল্লাহর তৈরি ২৫০ মিটারের একটি গোপন টানেল ধ্বংসেরও দাবি তাদের। একইসঙ্গে ইরানের নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কঠোর জবাব দিতে প্রস্তুতি চলছে বলেও জানিয়েছে দেশটি। এ অবস্থায় মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ উত্তেজনা কমাতে গাজায় ব্যবহৃত অস্ত্র ইসরাইলের কাছে আর বিক্রি না করার আহ্বান জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তবে মিত্রপক্ষের কারো সমর্থন না পেলেও লড়াই চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু।
ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোয় হামলা চালানো উচিত: ট্রাম্প
উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুর প্রভাব পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে। ইসরাইলকে ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলার আহ্বান জানিয়েছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে ভোটারদের মন জয়ের কৌশল হিসেবে আরব আমেরিকান ও মুসলিম নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কামালা হ্যারিস। এদিকে নির্বাচনে হেরে গেলে ট্রাম্প ফল নাও মেনে নিতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
রাজনৈতিক কারণে ইসরাইলের সঙ্গে কঠোর হতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র
ইসরাইলের সঙ্গে হামাস, হিজবুল্লাহ, হুথির মতো ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর সহিংসতা চরমে। যার ফলে মধ্যপ্রাচ্য এখন অনিবার্য সংঘাতের দিকে যাচ্ছে। এতো সংকটের মধ্যেও মিত্র দেশকে দমাতে কোনো কার্যকর ভূমিকাই রাখতে পারছে না একসময়ের ক্ষমতাসীন যুক্তরাষ্ট্র। সংবাদমাধ্যম সিএনএনের বিশ্লেষণ বলছে, দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিকে সংঘাতের প্রভাবমুক্ত রাখতেই ইসরাইলের সঙ্গে কঠোর হতে পারছে না মার্কিন প্রশাসন।