যুদ্ধবিরতি

ট্রাম্পের হুঁশিয়ারিতে আশাবাদী ইসরাইলি-ফিলিস্তিনিরা দু’পক্ষই

ট্রাম্পের কাছেই সমাধান চাইছেন ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনিরা। জিম্মিদের মুক্তি ও যুদ্ধবিরতি নিয়ে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারিতে দুই পক্ষই আশাবাদী। এদিকে যুদ্ধবিপর্যস্ত মানুষের সহায়তায় ২০২৫ সালে জাতিসংঘের রেকর্ড চার হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলারের বাজেট প্রয়োজন। ট্রাম্পের অধীনে এই অর্থ সংস্থান নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। ট্রাম্পের কড়া অভিবাসন নীতি নিয়েও ভয়ে আছেন বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা। এছড়া ট্রাম্পের অভিযোগ, ছেলেকে ক্ষমা করে মার্কিন বিচার বিভাগকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন বাইডেন।

গাজায় জিম্মিদের মুক্তি না দিলে ভয়াবহ পরিণতির হুমকি ট্রাম্পের

আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে গাজায় জিম্মিদের মুক্তি না দিলে ভয়াবহ পরিণতির হুমকি দিয়েছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজের ক্ষমতা গ্রহণের আগেই যুদ্ধবিরতি চান তিনি। এছাড়া গাজা ভয়াবহ মানবিক সংকটের দ্বারপ্রান্তে আছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত। গাজায় ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য প্রধান প্রবেশদ্বার রাফাহ ক্রসিং খুলে দেয়ার জন্য বৈঠক করেছে হামাস ও ফাত্তাহ গোষ্ঠী। এদিকে ইসরাইলি হামলায় গাজায় একদিনে ৩৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়াও যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করেই দক্ষিণ লেবাননেও ইসরাইলি হামলায় নতুন করে নিহত হয়েছেন অন্তত ১১ জন। ফলে, হুমকিতে পড়েছে চলমান যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ।

রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে আগ্রহী জেলেনস্কি

রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে আগ্রহী ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। ফিরিয়ে নিতে চাইবেন না রাশিয়ার জোরপূর্বক দখল করা অঞ্চলগুলো। কিন্তু দিতে হবে পশ্চিমাদের সামরিক প্রতিরক্ষা জোট ন্যাটোর সদস্য পদ। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর প্রায় ৩ বছরের মাথায় এই দাবি করে বসলেন ভলোদিমির জেলেনস্কি। যদিও সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জেলেনস্কি যেভাবে ন্যাটোর ছাতার নিচে যাওয়ার আশা করছেন, সেটা কখনই সম্ভব না।

মাঝপথে থমকে যাবে ইসরাইল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতি!

ইসরাইল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও এর স্থায়িত্ব নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে উভয়পক্ষ যখন একে অপরের বিরুদ্ধে শর্ত ভঙ্গের আনছে তখন বিশ্বাসযোগ্যতার ঘাটতিকে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে দেখছেন তারা। এছাড়া ইসরাইল বা হিজবুল্লাহ যদি মনে করে, এই যুদ্ধবিরতিতে তাদের স্বার্থরক্ষা হচ্ছে না, তাহলেও মাঝপথে থমকে যাবে এই সাময়িক যুদ্ধবিরতি- এমন আভাসও দিচ্ছেন অনেকে।

সংঘাত বন্ধ হলেও লেবানন চলে গেছে কয়েক দশক পেছনে

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাত বন্ধ হলেও চরম ক্ষয়ক্ষতিতে লেবানন যেন চলে গেছে কয়েক দশক পেছনে। দেশকে নেতৃত্ব দেয়া সশস্ত্র যোদ্ধা হিজবুল্লাহ'ও পড়ে গেছে নেতৃত্ব, অর্থ, সমরাস্ত্র আর সেনা সংকটে। বিশ্বব্যাংক বলছে, এই দেশ পুনর্গঠনে প্রয়োজন ৮৫০ কোটি ডলার। অন্য কোনো আরব দেশের সহযোগিতার সম্ভাবনা কম থাকায় হিজবুল্লাহ অর্থ সহায়তার জন্য তাকিয়ে রয়েছে পরমাণু শক্তিধর দেশ ইরানের দিকে।

গাজায় যুদ্ধ পরিচালনায় ইসরাইলকে ৬৮ কোটি ডলারের অস্ত্র সহায়তা

গাজায় যুদ্ধ পরিচালনায় ইসরাইলকে ৬৮ কোটি ডলারের অস্ত্র সহায়তা

ইসরাইল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতিকে মধ্যপ্রাচ্য সংকট নিরসনে প্রথম আশার আলো হিসেবে দেখছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। হিজবুল্লাহ বলছে, এটি তাদের বড় বিজয়। গোটা লেবাননেই বন্ধ আছে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিনে ঘরে ফিরছেন বাস্তুচ্যুত লেবানিজরা। গাজাতেও যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে ইসরাইলে বিক্ষোভ করেছেন বহু মানুষ। এদিকে গাজায় যুদ্ধ পরিচালনায় ইসরাইলকে ৬৮ কোটি ডলারের অস্ত্র সহায়তা প্যাকেজ অনুমোদন করেছে বাইডেন প্রশাসন।

দেশ পুনর্গঠনে দেশবাসীকে ঐক্যবব্ধের আহ্বান লেবানিজ প্রধানমন্ত্রীর

যুদ্ধবিরতির কার্যকরের পর দেশ পুনর্গঠনের জন্য জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন লেবাননের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আদিব। দক্ষিণ সীমান্তে দেশটির ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করার কথা জানিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। এদিকে হিজবুল্লাহকে পরাজিত করার দাবি করলেও নেতানিয়াহুর এই বক্তব্যকে বিশ্বাস করছেন না সাধারণ ইসরাইলিরা। লেবাননের পর গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছাতে কাজ করা হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

হিজবুল্লাহ-ইসরাইল যুদ্ধবিরতিতে লেবানিজদের মাঝে স্বস্তি

দীর্ঘ প্রায় দুই মাস শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে থাকার পর অবশেষে হিজবুল্লাহ-ইসরাইল যুদ্ধবিরতিতে স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ মানুষের মাঝে। হিজবুল্লাহর পতাকা উড়িয়ে রাস্তায় উল্লাস করছেন লেবানিজরা। যুদ্ধবিরতির পর দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন শহর অভিমুখে অগ্রসর হচ্ছে গাড়িবহর। যদিও নিরাপত্তাজনিত কারণে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের সাধারণ মানুষকে এখনই ঘরে না ফেরার অনুরোধ জানিয়েছে আইডিএফ।

যুদ্ধবিরতির পরও দক্ষিণাঞ্চলে ফিরতে পারছে না লেবাননবাসী

যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ফিরতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বলছে, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে আপাতত এখানেই অবস্থান করবেন তারা। এদিকে প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, আপাতত যুদ্ধবিরতি কার্যকর করলেও যেকোনো অপ্রত্যাশিত হামলার জবাব দেবে তেল আবিব।

লেবাননের সঙ্গে দুই মাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তি ইসরাইলের

লেবাননের সঙ্গে দুই মাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে ইসরাইল। আজ (বুধবার, ২৭ নভেম্বর) স্থানীয় সময় ভোরে কার্যকর হবে এই যুদ্ধবিরতি।

ইসরাইল-হিজবুল্লাহর যুদ্ধবিরতির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে শিগগিরই

ইসরাইল ও হিজবুল্লাহ'র মধ্যে যুদ্ধবিরতির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে শিগগিরই। আর এই ঘোষণা দেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। প্রাথমিকভাবে শর্তসাপেক্ষে এই যুদ্ধবিরতি হতে পারে ৬০ দিনের। লেবাননের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে ইসরাইলিরা। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জানান, যুদ্ধবিরতি চুক্তির খসড়া নিয়ে দুই পক্ষের মতপার্থক্য কমে এসেছে। এদিকে গেল একদিনে ইসরাইলি হামলায় লেবাননে ৩১ জন এবং গাজায় ১১ জন নিহত হয়েছে।

ইসরাইলে তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোন হামলা হিজবুল্লাহর

গাজা ও লেবাননে অভিযান জোরদারের পাল্টা জবাব হিসেবে ইসরাইলে তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। এতে ১০ জনের বেশি ইসরাইলি আহতের পাশাপাশি তেল আবিবসহ বেশ কয়েকটি শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। এমনকি হিজবুল্লাহর হামলায় লেবাননের একটি গুরুত্বপূর্ণ পাহাড় থেকে দখলদার বাহিনী পিছু হটেছে বলেও জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে বারবার ভেটো দিয়ে জাতিসংঘের বৈধতাকে যুক্তরাষ্ট্র হুমকিতে ফেলছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।