ব্রিকসভুক্ত দেশের ওপর দেড়শ শতাংশ শুল্কারোপের হুমকি ট্রাম্পের
ডলারকে ধ্বংস করতে চাইলে ব্রিকসভুক্ত দেশগুলোর ওপর দেড়শ শতাংশ শুল্কারোপ করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইউরোপের সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে ট্রাম্পের বুলি আওড়াচ্ছেন মার্কিন নিরাপত্তা পরিষদ আর ন্যাটো। জুনের মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে শতভাগ ব্যয় নিশ্চিত করার সময়সীমা দেয়া হয়েছে ন্যাটো সদস্য দেশগুলোকে। এদিকে, অভিবাসন আর ইউক্রেন ইস্যুতে ট্রাম্প প্রশাসনের ভূয়সী প্রশংসা করে বাইডেন প্রশাসনকে তুলোধোনা করলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স।
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের নীতি: ফাটল ধরতে পারে চীন-রাশিয়ার সম্পর্কে
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের নীতি ফাটল ধরাতে পারে চীন-রাশিয়ার দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রয়োজনে পুতিনকে সর্বোচ্চ সুবিধা দিতে রাজি হলেও, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধবিরতির আলোচনায় মস্কোর মিত্র হিসেবে চীনা প্রেসিডেন্টকে রাখার ঘোর বিরোধী ট্রাম্প। এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টকে চূড়ান্ত ভর্ৎসনা করলেও ইউক্রেন ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান অপরিবর্তিত রেখেছে বেইজিং।
ইউক্রেন-ইউরোপের নিরাপত্তা ইস্যুতে ফ্রান্সের দ্বিতীয় বৈঠকের উদ্যোগ
ইউক্রেন ও ইউরোপের নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনায় দ্বিতীয় বৈঠকের উদ্যোগ নিয়েছে ফ্রান্স। প্রথম বৈঠকে যেসব দেশ উপস্থিত ছিল না, তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বুধবারের (১৯ ফেব্রুয়ারি) বৈঠকে।
কিয়েভের ন্যাটোতে যোগদান মেনে নেবে না মস্কো
ইউক্রেন সংঘাত নিরসনে উচ্চপর্যায়ের দল গঠন, রাষ্ট্রদূত নিয়োগ ও পূর্ণ সহযোগিতার বিষয়ে সম্মত হয় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত চার ঘণ্টার বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এসময় কিয়েভের ন্যাটোতে যোগদান মেনে নেয়া হবে না বলে জানায় মস্কো। অন্যদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আলোচনার এক পর্যায়ে ইইউকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
ইউক্রেন সংঘাত নিরসনে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার বৈঠক
ইউক্রেন সংঘাত নিরসনে উচ্চপর্যায়ের দল গঠন, রাষ্ট্রদূত নিয়োগ ও পূর্ণ সহযোগিতার বিষয়ে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত ৪ ঘণ্টার বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় কিয়েভের ন্যাটোতে যোগদান মেনে নেয়া হবেনা বলে জানায় মস্কো। অন্যদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আলোচনার একপর্যায়ে ইইউকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
'গুটি কয়েক নেতার কথায় এই যুদ্ধ শেষ হবে না'
গুটি কয়েক নেতার কথায় এই যুদ্ধ শেষ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রাশিয়ার আগ্রাসন মোকাবিলায় ইউরোপীয় সেনাবাহিনী গঠনের আহ্বান জানান তিনি। ন্যাটোর বক্তব্য, জোটে ইউরোপীয়দের আরো বরাদ্দ বাড়ানো উচিত। এদিকে, ভ্যান্সের পর ট্রাম্পও ইউরোপীয়ানদের বাকস্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
ইউক্রেনেই ন্যাটো বানানোর হুঁশিয়ারি জেলেনস্কির
ইউক্রেনেই ন্যাটো বানানোর হুঁশিয়ারি দিলেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। জার্মানিতে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী মিউনিখ সিকিউরিটি সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। সেসময় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে সাইড টেবিল বৈঠক করেন জেলেনস্কি।
ইউক্রেন ইস্যুতে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যাচ্ছে ন্যাটো
রাশিয়ার সেনা অভিযান শুরুর পর থেকে ইউক্রেনে সম্মিলিতভাবে পশ্চিমা বিশ্ব সামরিক সহায়তা দিয়ে গেলেও যুদ্ধবিরতির আলোচনা হয়েছে ইউরোপকে ছাড়াই। পেন্টাগন প্রধান সতর্ক করে বলেছেন, ইউক্রেনকে সহায়তা দেয়ার দায়ভার যুক্তরাষ্ট্রের একার নয়। বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলছে, ইউক্রেনে শান্তি ইউরোপের অংশগ্রহণ ছাড়া সম্ভব নয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেন ইস্যুতে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যাচ্ছে ন্যাটো।
রাশিয়ার বিদ্যুৎ সাম্রাজ্যে ফাটল, জ্বালানির দাম বাড়ার শঙ্কা
রুশ গ্রিড থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে বাল্টিক তিন রাষ্ট্র এস্তোনিয়া, লাটভিয়া ও লিথুনিয়া। জ্বালানি খাত ও ভূরাজনীতিতে ক্রেমলিনের প্রভাব ঠেকানোর কৌশল হিসেবে এমন পদক্ষেপ নিল দেশগুলো। বাল্টিক সাগরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে ন্যাটো ও ইইউ। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, এর প্রভাবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়বে বহুগুণ।
ইরান-চীন, রাশিয়ার মতো নিজেদের সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে যাচ্ছে ন্যাটো
ইরান, রাশিয়া, চীন আর উত্তর কোরিয়া একজোট হয়ে যেভাবে নিজেদের সামরিক সক্ষমতা বাড়াচ্ছে, তাতে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব না বাড়িয়ে ন্যাটোরও একই পথ অনুসরণ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ন্যাটো প্রধান। এরইমধ্যে, সমরাস্ত্র আর সেনা সক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ন্যাটোভুক্ত অনেক দেশ। যদিও যুক্তরাষ্ট্র বলছে, নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্বের জ্বালানির বাজার স্থিতিশীল হলেও নতুন করে ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছে নিত্যপণ্যের বাজার।
তিন বছরেও সমাধান মিলেনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রায় তিন বছর হতে চললেও আজও মেলেনি কোনো সমাধান। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা অনেক দেশের সহায়তায় যুদ্ধের ময়দানে নিজেদের টিকিয়ে রেখেছে ইউক্রেন। গেল তিন বছরের যুদ্ধে ইউক্রেনের মোট ভূখণ্ডের পাঁচ ভাগের এক ভাগ দখল করে নিয়েছে রাশিয়া। পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য বলছে, দুই দেশেই হতাহতের সংখ্যা লাখের উপরে।
ইউক্রেন যুদ্ধে পরোক্ষভাবে অংশ নিচ্ছে রাশিয়ার বিলিওনেয়াররা
রাশিয়ার বিলিওনেয়াররাও পরোক্ষভাবে অংশ নিচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধে। ধনকুবেরদের রাসায়নিক কারখানা থেকে বিস্ফোরক তৈরির হাজার হাজার টন রাসায়নিক যাচ্ছে রুশ অস্ত্র প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বিশ্লেষণ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বলছে, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা পাঁচ ধনকুবেরের শেয়ার রয়েছে, এমন পাঁচ কোম্পানি, রেলপথে রাসায়নিক পাঠিয়েছে বিস্ফোরক তৈরির বিভিন্ন কারখানায়। রাশিয়ার অস্ত্রের মেশিন ৩ বছর ধরে চলছে এই ধনকুবের আর তাদের কোম্পানির ওপর নির্ভর করে।