ট্যানারি
নাটোরে চামড়ার ব্যবসায় ধ্স

নাটোরে চামড়ার ব্যবসায় ধ্স

কোরবানির পর প্রথম দু'সপ্তাহ চামড়ার দাম ভালো থাকলেও হঠাৎ করেই নাটোরের চামড়ার বাজারে ধ্স নেমেছে। লোকসান করে চামড়া বিক্রি করছেন ফড়িয়া ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। এ জন্য পর্যাপ্ত ট্যানারি মালিক না আসা ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।

যশোরে এক হাটে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার চামড়া বিক্রি

যশোরের রাজারহাটে কোরবানি পর দ্বিতীয় দিনেরমতো বসা চামড়ার হাট ছিল জমজমাট। আজ (শনিবার, ২২ জুন) এই হাটে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা মূল্যের চামড়া বিক্রি হয়। তবে, বাজার জমজমাট হলেও দাম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিক্রেতারা। তাদের অভিযোগ সরকার ফুট হিসেবে দাম নির্ধারণ করলেও এই বাজারে চামড়া বিক্রি করতে হচ্ছে পিস হিসাবে। এমন অবস্থায় লাভ তো দূরের কথা উল্টো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।

এক মাস লবণযুক্ত কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করবে ট্যানারিগুলো

এক মাস লবণযুক্ত কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করবে ট্যানারিগুলো

কোরবানি ঈদের পর থেকে প্রায় এক মাস ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলা থেকে লবণযুক্ত কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করবে ট্যানারিগুলো। এরইমধ্যে এসব চামড়া সংগ্রহের জন্যে আড়ৎগুলোর সাথে কথা শুরু করেছে ট্যানারি কর্তৃপক্ষ। এদিকে পুরান ঢাকার পোস্তার চামড়ার গুণগত মান দেশের অন্যান্য যেকোন জায়গার লবণযুক্ত চামড়ার চেয়ে ভালো বলে দাম নিয়ে খুব একটা সমস্যা হবে না বলে জানায় বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন।

দানের খাতায় চট্টগ্রামের চামড়া ব্যবসা!

চট্টগ্রামে চামড়ার ব্যবসা চলে গেছে দানের খাতায়। লাখ টাকায় কেনা পশুর চামড়া মাত্র ৩০০ টাকা, তাই বিক্রি না করে মাদ্রাসা, মসজিদ বা এতিম সংগঠনকে বিনামূল্যে দিয়ে দিচ্ছেন কোরবানিদাতারা। অবস্থা এমন যে, বিক্রির চাইতে দানের চামড়ার পরিমাণ বেশি হয়ে যাচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা।

কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করা শুরু করেছে ট্যানারিগুলো

মৌসুমি ব্যবসায়ীদের থেকে কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করা শুরু করেছে ট্যানারিগুলো। আজ (সোমবার, ১৭ জুন) সকালে পশু কোরবানির পর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় কাঁচা চামড়া বেচাকেনা শুরু হয়।

দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি খাত হয়েও নানা সংকটে চামড়া শিল্প

দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি খাত হয়েও নানা সংকটে চামড়া শিল্প

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি খাত চামড়া শিল্প। কোরবানি ঈদের সময় কাঁচা চামড়া সংগ্রহ ও ক্রয়ে সরকার উৎসাহ দিলেও, পরবর্তীতে ট্যানারিগুলো কী দরে কিনছে তা নজরদারি করে না কর্তৃপক্ষ। এতে সরকারি দামে চামড়া কিনে বিপাকে পড়তে হয় আড়তদারদের। এছাড়াও কোরবানি ঈদের আগেই দাম বেড়ে যায় লবণ ও কেমিক্যালের। এতে চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণেও ব্যর্থ হচ্ছে ট্যানারি ব্যবসায়ীরা।