বাজার
0

যশোরে এক হাটে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার চামড়া বিক্রি

যশোরের রাজারহাটে কোরবানি পর দ্বিতীয় দিনেরমতো বসা চামড়ার হাট ছিল জমজমাট। আজ (শনিবার, ২২ জুন) এই হাটে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা মূল্যের চামড়া বিক্রি হয়। তবে, বাজার জমজমাট হলেও দাম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিক্রেতারা। তাদের অভিযোগ সরকার ফুট হিসেবে দাম নির্ধারণ করলেও এই বাজারে চামড়া বিক্রি করতে হচ্ছে পিস হিসাবে। এমন অবস্থায় লাভ তো দূরের কথা উল্টো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।

দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় চামড়ার হাট যশোরের রাজারহাট। শনিবার এই হাটে বিক্রি হয় প্রায় ৬৫ হাজার পশুর চামড়া। যার আনুমানিক বাজার দর প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা। এরমধ্যে গরুর চামড়া ৩০ হাজার ও ছাগলের চামড়া ছিল ৩৫ হাজার পিস।

মূলত খুলনা বিভাগসহ আশেপাশের বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা এই হাটে চামড়া বিক্রি করতে আসেন। হাটে জায়গা না হওয়ায় রাস্তার পাশেও চামড়া নিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা। তবে সবারই দাম নিয়ে আক্ষেপ ছিল।

একজন ব্যবসায়ী বলেন, 'যারা আমাদের থেকে চামড়া কিনছেন আমরা তাদের কাছে টাকাটা নগদ চাচ্ছি। না হলে বাকেট সিস্টেমে পণ্য বিক্রি করে আমরা ধরা খাচ্ছি।'

বিনোদ দাশ নামের একজন চামড়ার মৌসুমি ব্যবসায়ী খুলনার পাইকগাছার নিজ এলাকা থেকে ৩৭ হাজার টাকায় কেনা ৬২ পিস গরুর চামড়া রাজারহাটে বিক্রি করেছেন ২৪ হাজার টাকায়। তার মতো প্রায় সব মৌসুমি ব্যবসায়ীর একই হাল। তারা অভিযোগ করছেন সরকার প্রতিফুট লবণযুক্ত চামড়ার দাম ঢাকার বাইরে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা নির্ধারণ করলেও এখানে বিক্রি হচ্ছে পিস হিসেবে। এমন অবস্থায় প্রতি পিচ ছাগলের চামড়া ২০ থেকে ৫০ টাকা আর গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়।

এদিকে আড়তদার ও ট্যানারি মালিকদের প্রতিনিধিরা বলছেন, লবণযুক্ত চামড়া ফুট হিসেবেই কিনছেন তারা। তবে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে প্রতি ফুটে দিচ্ছেন অন্তত ২০ টাকা কম।

বৃহত্তর যশোর জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন মুকুল বলেন, 'এ হাটে গরুর চামড়া উঠেছে ৩০ হাজার আর ছাড়লের চামড়া উঠেছে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার পিছ। এ থেকে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা বেচাকেনা হবে।'

সপ্তাহের প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার রাজারহাটে যশোরসহ খুলনা বিভাগের দশ জেলার পাশাপাশি ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, ঝালকাঠি, রাজশাহী, পাবনা, ঈশ্বরদী ও নাটোরের ব্যবসায়ীরা চামড়া কেনাবেচা করেন। ছোট-বড় মিলিয়ে এখানে প্রায় ২ শতাধিক আড়ৎ রয়েছে। যেখানে কাজের সুযোগ হচ্ছে অন্তত ২ হাজার মানুষের।

এসএস