
নববর্ষ সামনে রেখে ইলিশ শিকারে বেপরোয়া জেলেরা
পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ ধরতে নেমেছে অসাধু জেলেরা। অন্যান্য সময়ের তুলনায় বৈশাখে ইলিশের দাম কয়েক গুণ বেশি থাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তারা। কিছু অসাধু আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অর্থের বিনিময়ে প্রকাশ্যেই চলছে মাছ ধরা ও বিক্রি। অথচ জাটকা রক্ষায় নদীতে চলছে সকল ধরনের মাছ ধরায় দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা কার্যক্রম।

নববর্ষ ঘিরে ছুটির দিনে জমজমাট রাজধানীর কাঁচাবাজার
মাংসের দাম কমলেও ঊর্ধ্বমুখী সবজি
নববর্ষ ঘিরে ছুটির দিনে জমজমাট রাজধানীর কাঁচাবাজার। নববর্ষের রসনা বিলাসের শীর্ষ পদ ইলিশের চাহিদা বেড়েছে, ঠিক রয়েছে ইলিশ সরবরাহ। কমেছে সব ধরনের মাংসের দাম। অন্যদিকে ঈদের পর বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। চালের চড়া বাজারে আমদানি কমায় বস্তাপ্রতি দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ২০০ টাকা।

চাহিদার সঙ্গে বেড়েছে মাছের দাম, অপরিবর্তিত মাংসের
বছরের এই সময় ইলিশের চাহিদা থাকে বাড়তি। তবে, ইলিশের বাজারে নেই স্বস্তি। বেশিরভাগ বাজারেই ৫০-১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে দাম। ইলিশের সাথে দাম বেড়েছে অন্য মাছেরও। তবে, দাম অপরিবর্তিত রয়েছে মাংসের।

ইলিশের দামে আগুন, মণ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা
পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। আজ (বুধবার, ৯ এপ্রিল) বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, এক কেজি ৩০০ গ্রাম থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশের মণ বিক্রি করা হচ্ছে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা দরে।

‘জাটকা ধরা বন্ধ হলে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে’
জাটকা ধরা বন্ধ হলে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে, সেইসঙ্গে ইলিশ রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। আজ (মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল) দুপুরে বরিশালের বেল্সপার্কে ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ সংস্কৃতির অংশ নয়, এদিন ইলিশ না খাওয়ার আহ্বান মৎস্য উপদেষ্টার
পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ খাওয়া বাঙালি সংস্কৃতির অংশ নয় মন্তব্য করে এদিন ইলিশ না খাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। আজ (সোমবার, ৭ এপ্রিল) সচিবালয়ে একথা বলেন তিনি। ৮ থেকে ১৪ এপ্রিল জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ মনে করিয়ে দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, 'এসময় ইলিশ খাওয়া মানে আইন লঙ্ঘন করে জাটকা খাওয়া।'

নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দেশের ৫টি অভয়াশ্রমে চলছে মাছ শিকার
উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাটকার নিরাপদ বিচরণ নিশ্চিত করতে দেশের ৫টি অভয়াশ্রমে চলছে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা। শরীয়তপুরের পদ্মাতেও ২০ কিলোমিটার অভয়াশ্রমে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানছেন না জেলেরা। মাছ শিকারের পর তা বিক্রি হচ্ছে নদী তীরেই। জেলেদের অভিযোগ সময়মতো খাদ্য সহায়তা না পাওয়া, ঋণের বোঝা আর ঈদের বাড়তি খরচ মেটাতে নদীতে নামতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

ঊর্ধ্বগতির বাজারে সাড়া ফেলেছে সুপারশপের কম্বো প্যাকেজিং
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে সাড়া ফেলেছে সুপারশপের বিভিন্ন কম্বো প্যাকেজিং। তবে সেই প্যাকেজিং কেবলই আশীর্বাদ হয়েছে ব্যস্ত এ শহরে ছুটে চলা মানুষদের। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যাদের জন্য এই কম্বো প্যাকেজ, সেই নিম্নবিত্ত মানুষদের হাতের নাগালে এসেছে কি?

শেষ হচ্ছে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা, রাত থেকে ইলিশ ধরা শুরু
শেষ হচ্ছে ইলিশের নিরাপদে প্রজনন রক্ষায় গত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। আজ (রোববার, ৩ নভেম্বর) রাত ১২টার পর থেকে সাগর ও নদীতে আবারো ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরার প্রস্তুত জেলেরা। সবশেষ প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। সুনশান নীরব ঘাটগুলোও হয়ে উঠছে কর্মচঞ্চল। দেশের ছয়টি অভয়াশ্রমে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর নতুন স্বপ্ন নিয়ে মাছ ধরার আনন্দ-উচ্ছ্বাস বইছে জেলে পাড়ায়। মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞাকালীন সময় পরবর্তীতে জেলেদের জালে মিলবে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ।

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বরিশালে ইলিশ ধরছেন জেলেরা
বরিশালে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে ইলিশ মাছ ধরছেন জেলেরা। নজরদারি থাকলেও জেলেদের কৌশলের কাছে যেন অসহায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জেলেদের দাবি, পেটের দায়ে বাধ্য হয়ে নদীতে নামছেন তারা। তবে মৎস্য বিভাগ বলছে, এসময় নদীতে প্রচুর মাছ থাকায় ধরার লোভ সামলাতে পারছে না জেলেরা।

২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় বরগুনা জেলা প্রশাসনের টহল জোরদার
ইলিশসহ অন্যান্য মাছ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে। এ লক্ষ্যে বরগুনায় টহল জোরদার করেছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, নৌবাহিনী ও মৎস্য বিভাগ। আজ (শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর) বরগুনার বিষখালী-পায়রা-বলেশ্বর ও সমুদ্র মেহনায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

ইলিশের অভয়ারণ্য রক্ষায় সমুদ্রে সতর্ক পাহারা নৌবাহিনীর
বাঙালির পাত থেকে দিন দিন উধাও হয়ে যাচ্ছে ইলিশ। বিশেষ করে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছে সুস্বাদু এ মাছ। এবারের মৌসুমে রীতিমতো দাম নিয়ে উত্তাপ ছড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা। এতদিন যে অভিযোগ ছিল তারই প্রেক্ষিতে মা ইলিশের অভয়ারণ্য রক্ষায় সমুদ্রে সতর্ক পাহারা শুরু করেছে নৌবাহিনী।