‘সিন্ডিকেট’ জালে দেশের ফুটবল, কেবলই বিতর্ক না সত্যি?

বাংলাদেশ ফুটবল দলের একঅংশ
বাংলাদেশ ফুটবল দলের একঅংশ | ছবি: এখন টিভি
0

বাংলাদেশ ফুটবলে সবচেয়ে আলোচিত শব্দ এখন ‘সিন্ডিকেট’। দেশের ফুটবলের একটি বিশেষ ক্লাব এবং কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার বিপক্ষে আছে গুরুতর অভিযোগ। স্কোয়াড গঠন থেকে ম্যাচের একাদশ, সবখানেই সিন্ডিকেট ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজে পাচ্ছেন ফুটবল সমর্থকরা। কিন্তু অভিযোগের বাইরে গিয়ে কতটা সত্য এ বিতর্ক?

এক ক্লাব থেকেই শুরুর একাদশে আট ফুটবলার। তাতেও অনেকে জায়গা পেয়েছেন নির্ধারিত পজিশনের বাইরে। কেউ পারফরম্যান্সের মানদণ্ডে দুর্বল হলেও শুরুর মিনিট থেকেই ছিলেন মাঠে। দেশের ফুটবলে এখন সবচেয়ে প্রচলিত শব্দ সিন্ডিকেট। যোগ্য ফুটবলারদের বেঞ্চে রেখে ঘুরেফিরে নির্দিষ্ট কিছু ফুটবলারকে খেলানোর অভিযোগ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার বিপক্ষে। যার সবচেয়ে বড় উদাহরণ সবশেষ হংকং, চায়না ম্যাচে৷ খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেয়া জায়ান-শোমিতরা নিজেদের শুরুর একাদশে খুঁজেই পাননি সাদ উদ্দিন-সোহেল রানাদের ভিড়ে।

ম্যাচের একাদশে জায়গা মিলছে পারফরম্যান্স না করেই। স্কোয়াডেও অনেকে টিকে যাচ্ছেন নামের জোরে। তবে কি দল নির্বাচনেও প্রভাবিত হন ক্যাবরের? সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে না দিলেও দুই ফুটবলারের কাছে আছে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা।

বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক ফুটবলার জাহিদ হাসান এমিলি বলেন, ‘যদি কেউ এটিকে ফোর্স করে বা ম্যানিপুলেট করেছে বলে, এ বিষয়ে তাহলে আমি কোনোভাবেই বিশ্বাস করি না। কারণ এটি ন্যাশনাল টিম। তবে সেখানে অবশ্যই কিছুতো গড়মিল আছে। কারণ পারফর্ম না করা প্লেয়াররা রেগুলারই সুযোগ পাচ্ছে। আর যারা ডিজার্ভ করে ন্যাশনাল টিম তারা সুযোগ পাচ্ছে না।’

বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ক্লাবগুলোর মধ্যে কেউ না কেউ আছে ফেডারেশনে। ফলে এমন কথাগুলো আসছে।’

আরও পড়ুন:

হংকং-চায়না ম্যাচে দল নির্বাচন থেকে খেলার ধরণ সবকিছুতেই প্রশ্নবিদ্ধ ক্যাবরেরা। সাবেক ফুটবলার জাহিদ হাসান এমিলি সরাসরিই জানালেন, এখনই দেশের ফুটবলে ক্যাবরেরা অধ্যায়ের ইতি টানা প্রয়োজন।

সাবেক ফুটবলার জাহিদ হাসান এমিলি আরও বলেন, ‘এ ম্যাচের পর সে যদি জেতেও তাহলেও তার ইতি টানা উচিত।’

তবে ক্যাবরেরার বিদায়েই কি হবে সিন্ডিকেট বিতর্কের শেষ? এখানেও আলাদা মত আছে দুই সাবেক অধিনায়কের।

জাহিদ হাসান এমিলি বলেন, ‘যদি এরকম কোনো কিছু থাকে তা এজ সুন এজ পসিবল ফাইন্ড আউট করতে হবে। কারণ এটি দেশের ফুটবলের জন্য কখনো ভালো হবে না।’

সাবেক অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম বলেন, ‘ক্লাবের কেউ যদি সেখানকার মেম্বার না হয়। বা সেখানকার মেম্বার কেউ ম্যানেজমেন্ট কমিটিতে না থাকলে কথাগুলো আসবে না।’

সামনে উজ্জ্বল সম্ভাবনা থাকলেও বাংলাদেশ জাতীয় দল এখন ডুবে আছে আক্ষেপের বেড়াজালে৷ ডাগআউটে ক্যাবরেরার ভুল আর সিন্ডিকেট নামের এক অদৃশ্য শক্তি যেন আটকে দিচ্ছে সবকিছুই৷ সাবেক-বর্তমানদের চাওয়া এ হুমকি থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসুক দল৷

এফএস