কথায় আছে, কাজে নেই। বাফুফের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যানের বক্তব্যে এমনটাই মনে করতে পারেন অনেকে। কারণ দ্রুত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের কথা বলে পার হয়েছে পাঁচ মাস। অথচ এখন পর্যন্ত আর্থিক পুরস্কার সাবিনাদের বুঝিয়ে দিতে পারেনি ফেডারেশন।
বাফুফের পর যৌথভাবে এক কোটি টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন। পরে ঘোষণা দিলেও বাফুফের আগে সাফজয়ীদের পুরস্কার দিয়েছে সংস্থা দু'টি। সবশেষ সাফ জেতার পর সবার আগে নারী ফুটবলারদের জন্য পুরস্কারের ঘোষণা দেয় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। তার কিছুদিনের মধ্যেই টাকা বুঝে পেয়েছেন দামাল কন্যারা।
আর বাফুফে কর্তারা দেড় কোটি টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দিয়ে যেন ভুলেই গেছেন। ঈদের পর সাবিনাসহ চার ফুটবলার ভুটান খেলতে যাওয়ার আগে তাদের শুভেচ্ছা জানান বাফুফের কয়েকজন কর্তা। তখন তাদের আর্থিক পুরস্কারের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেন ফুটবলাররা। তাবিথ আউয়াল সভাপতি হওয়ার পর তিনটি কার্যনির্বাহী সভা করেছে ফেডারেশন। তবে সাফজয়ীদের প্রতিশ্রুত আর্থিক পুরস্কার দেয়ার দিনক্ষণ চূড়ান্ত করতে পারেননি বাফুফে কর্তারা।
বাফুফে সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম বলেন, 'এটার কোনো আপডেট নাই। আমরা যেহেতু বোনাস ঘোষণা করেছি, টার বোনাস তারা পেয়ে যাবে। আমরা কিন্তু নির্দিষ্ট টাইমলাইন বলিনি। মেয়েদের বলা আছে, মেয়েরাও জানে। এটা ওরা পেয়ে যাবে, এটাতে কোনো সন্দেহ নেই।'
চলতি মাসের ২৬ তারিখ চট্টগ্রামে বাফুফের নির্বাহী সভা হওয়ার কথা রয়েছে। তখন নারীদের আর্থিক পুরস্কারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসে কি না, সেটাই দেখার বিষয়।