একুশে পদক প্রাপ্তির আনন্দময় ও গর্বের সময়টা একসাথেই ভাগ করে নিলেন নারী ফুটবল দল। তবে প্রধান উপদেষ্টার কাছে পদক নেবার পরে অল্প সময়ের ব্যবধানে বোঝা গেল দলের বন্ধনের কাটা সুতাটা এখনও জোড়া লাগেনি।
পদক গ্রহণের পর দেখা যায়, একদিকে এক জোট হয়ে আছেন সাবিনার নেতৃত্বে থাকা বিদ্রোহী খেলোয়াড়রা, অন্যদিকে পিটার বাটলারের অধীনেই খেলার সিদ্ধান্ত নেয়া খেলোয়াড়রা। পদক জয়ের পর গণমাধ্যমকে সাবিনা-মাসুরা'রা প্রতিক্রিয়া তো জানান-ই-নি, উল্টো কথায় ছিল ক্ষোভের স্ফুরণ।
তবে ভিন্নপথে হেঁটেছেন দেশের নারী ফুটবলের নতুন দিনের কাণ্ডারি আফিদা খন্দকার।
আফিদা খন্দকার বলেন, 'যখন আমরা সম্মাননাটা পেতে যাচ্ছি তখন দাঁড়িয়ে আমাদের জন্য সম্মানটা দিয়েছে এটা খুবই ভালো লেগেছে। উনিও খুশি, আমরাও খুশি। উনার সাথে দেখা করতে পেরে, উনার হাত থেকে পুরস্কার নিতে পেরে অনেক কুশি আমি।'
দেশের ইতিহাসে প্রথমবার এমন সম্মাননায় গর্বিত বাফুফে কর্মকর্তারাও।
বাফুফে মিডিয়া উইংয়ের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বাবু বলেন, 'সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে একুশে পদক আমাদের নারী ফুটবল দলকে দেয়া হয়েছে, আমি মনে করি আমাদের বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য এটি একটি বিরাট বড় পাওয়া।'
বাফুফে নির্বাহী সদস্য টিপু সুলতান বলেন, 'এটা একটা বিশাল বড় সম্মান। এবং আমি খুব আনন্দিত এবং আবেগাপ্লুত। আমার কাছে অনেক বালো লাগছে যে একটা রাষ্ট্রীয় সম্মানে ভূষিত হওয়া তো যেনতেন ব্যাপার না, অনেক বড় ব্যাপার।'
সম্মানের এই পদককে ভবিষ্যতের অনুপ্রেরণা জোগাবে বলে মানছেন বাফুফে মিডিয়া উইং সভাপতি।
বাফুফে মিডিয়া উইংয়ের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বাবু বলেন, 'পদকের পরিপ্রেক্ষিতে ক্রীড়াঙ্গনের অনেকেই সামনের দিকে আরও ভালো খেলার জন্য অনুপ্রেরণা যোগাবে।'
এই কর্মকর্তার কথাই থেকে যদি অনুপ্রেরণা নিতে পারে তবে সামনে ফুটবলসহ ক্রীড়াক্ষেত্রে ভালো সময় অপেক্ষা করছে দেশের জন্য।