ভুল করেন তাই হারেন, এটুকু বুঝেন ক্রিকেটাররা। সহজ স্বীকারোক্তি, তাই না? ভুল থেকে যে শিক্ষা নিতে হয়, সেটিও হয়তো জানেন। কিন্তু মাঠের ক্রিকেটে প্রয়োগ আর দেখা যায় না। তাই তো ঘরের মাঠে প্রায় নির্বাসিত জিম্বাবুয়ের কাছেও হারতে হয় মাত্র চারদিনে।
জাকের আলী অনিক বলেন, 'আমরা ভুল করি, সেজন্য আমরা হারি। এটা সিম্পল ব্যাপার।'
জাকের আলীরা তবু স্বীকার করেন। অনেকে সেটিও মানতে চান না। যেমন সিনিয়ররা। পারছেন না তবু দিনের পর দিন খেলে যাচ্ছেন, বন্ধ করে রেখেছেন নতুনদের সুযোগের দরজা। অনিকের মতো তরুণরা কেবল সিনিয়রদের গুণগান গেয়ে যান আর মনে করিয়ে দেন, দায়িত্বটা সবার।
জাকের আলী অনিক বলেন, 'উনারই যে প্রতিদিনই রান করতে হবে, এমন তো কোনো কথা নেই। সবারই রান করতে হবে। ব্যাটার যতজন আছে সবারই রেসপন্সিবিলিটি নিতে হবে, সবার রান করতে হবে, রান না করলেও অন্তত ওই ফাইটটা শো করতে হবে। যেমন শেষ ইনিংসে হাসানের ব্যাটিং আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।'
আরো পড়ুন:
ব্যাটাররা তাদের দায়িত্ব সামাল দিতে পারেন না তাই চাপ পড়ে টেল এন্ডারদের ওপর। যাদের মূল কাজ বল হাতে, তারাও নেমে পড়েন ব্যাট নিয়ে। আর হাসান মাহমুদ-তাইজুলদের সঙ্গে সংগ্রামে নামেন জাকের আলীরা। যেটি কেবল দলকে এগিয়ে নেয় তথাকথিত সম্মানজনক হারের দিকে।
জাকের আলী অনিক বলেন, 'যে সিচুয়েশন ওইরকমভাবেই তো খেলতে হবে। এটা নিয়ে তো আসলে কোনোকিছু বলার নেই, সিচুয়েশনে দেখা যায় আমরা টেলএন্ডারদের নিয়েই চেষ্টা করি যেন বড় ইনিংস করা যায়।'
চট্টগ্রামে মানসম্মান বাঁচানোর মিশনে আগামী (সোমবার, ২৮ এপ্রিল) জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।