‘এসো দেশ বদলাই’ প্রতিপাদ্যে দেশব্যাপী আয়োজিত হচ্ছে তারুণ্যের উৎসব। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর মূলত একটি কর্মক্ষম বাংলাদেশ গড়তে আয়োজিত হচ্ছে এই প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচি।
ক্রিকেট ও ফুটবলের পাশাপাশি সব ফেডারেশনকে নিয়েই এই কার্যক্রম। নতুন কমিটির মাধ্যমে কিছু ফেডারেশন কাজ শুরু করলেও বাকি ফেডারেশনগুলোকে দ্রুত সংস্কার করে ত্বরান্বিত করা হবে কাজ। বছর জুড়ে বিভিন্ন বয়সভিত্তিক পর্যায়ে একইভাবে আয়োজিত হবে নানা কর্মসূচি।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই স্লোগানের মাধ্যমে আমরা ৩০ ডিসেম্বর থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশব্যাপী তারুণ্যের উৎসব উদযাপন করছি।’
বাফুফে সহসভাপতি শাহরিয়ার জাহেদী বলেন, ‘আমাদের দেশব্যাপী যে স্কাউটেড ট্যালেন্টগুলো তাদের যেন ভবিষ্যতে আমরা কাজে লাগাতে পারি সে ব্যাপারে আমরা সচেষ্ট থাকবো।’
২৫ জানুয়ারি সিলেট জেলা দিয়ে শুরু হচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৫ জাতীয় ফুটবল লিগ। প্রতিটি জেলা ৩টি করে ম্যাচ খেলবে। ট্যালেন্ট হান্ট থেকে বেরিয়ে আসা খেলোয়াড়দের ডেভেলপমেন্ট কমিটির মাধ্যমে অনূর্ধ্ব ১৬ থেকে ১৭ পর্যায়ে কিংবা এলিট একাডেমিতে স্থানান্তর করা হবে।
অনূর্ধ্ব-১৫ জাতীয় লিগ আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান মনজুরুল করিম বলেন, ২০০-৩০০ প্লেয়ার ট্রায়ালে এসেছে। এখানে জেলাগুলোকে খুব কষ্ট করতে হয়েছে। বয়সভিত্তিক হিসেবে ৩৫-৪০ জন প্লেয়ার বাছাই করতে হয়েছে। অনূর্ধ্ব-১৫ এর যেসব খেলোয়াড় আমরা পেয়েছি তাদের যদি ভালোভাবে নার্সিং করতে পারি ইন শা আল্লাহ আমাদের জাতীয় দলের পাইপলাইনে তারাই থাকবে।’
ফুটবলের উন্নয়নে কাজ করছে বাফুফের নতুন কমিটি। তারুণ্যের উৎসবের মাধ্যমে অনূর্ধ্ব-১৫ দিয়ে শুরু হলো আয়োজন। ফুটবলকে মাঠে রাখতে বাফুফের নিজস্ব অর্থায়নে চেষ্টা চলছে খেলোয়াড়দের সুযোগ সুবিধা বাড়ানো ও স্পন্সর নিশ্চিতের কাজ।
বাফুফের গভমেন্ট রিলেশন্স কমিটির সদস্য রনি মল্লিক বলেন, ‘সুযোগ সুবিধা, আরো বেশি উন্নত প্রশিক্ষণ অ্যাকোমোডেশন এগুলো নিশ্চিত করা গেলে আমি নিশ্চিত আমাদের দেশে অনেক ভালো ভালো খেলোয়াড় আছে।’
এছাড়াও বাফুফে'র নতুন কমিটির অধীনে আয়োজিত হচ্ছে বিপিএল ও বিসিএল। প্রত্যেক বিভাগেই ক্লাবগুলো সক্রিয় থাকলে বের হয়ে আসবে প্রতিভাবান খেলোয়াড়। আগামী ৪ বছরে তৈরি হবে ভালো এক দল যারা বাংলাদেশের হয়ে বিশ্বমঞ্চে পারফর্ম নিজেদের তুলে ধরবে বলে আশা।