বেটিং ও ফিক্সিং রোধে কঠোর পদক্ষেপের বার্তা ক্রীড়া উপদেষ্টার

ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ | ছবি: এখন টিভি
0

দেশের সমস্ত অনলাইন বেটিং সাইটগুলোকে আইনের আওতায় আনতে স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ের সাথে একযোগে কাজ করছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। ফিক্সিং ইস্যু নিয়েও বিসিবি ও বাফুফেকে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানালেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। ৫ আগস্টের ঘটনায় শুটিং ফেডারেশনের অস্ত্র ব্যবহার নিয়েও নিজের প্রতিক্রিয়া জানালেন তিনি।

অনলাইনে দিন দিন উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে জুয়ার কালো থাবা। বিশেষ করে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে যত্রতত্র চলছে বেটিংয়ের বিজ্ঞাপন।

লেনদেন হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। বিশেষ করে টার্গেট করা হচ্ছে তরুণ প্রজন্মকে। তরুণদের জুয়ার নেশা থেকে বাঁচাতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কী করছে তারই ফিরিস্তি দিলেন উপদেষ্টা।

আসিফ মাহমুদ বলেন, 'আমরা যুবকদের নিয়ে কাজ করি। সে জায়গা থেকে আমাদের কটা কনসার্ন আছে। আমরা আইন মন্ত্রণালয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে টাকে পুরোপুরি আইনের কাতারে নিয়ে আসবো। ফলে যেকেউ টাকে প্রমোট করলে টাও নগতভাবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে।'

দেশের ঘরোয়া লিগগুলোতে প্রায়শই ঘটছে ফিক্সিংয়ের মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা। তাই পাতানো খেলা বন্ধে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর তাগিদ দিলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা।

আসিফ মাহমুদ বলেন, 'ফিক্সিং একটা গ্লোবাল সমস্যা। এ বিষয়ে আমরা এরইমধ্যে বিসিবির সাথে কথা বলেছি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে টেকনোলজির মাধ্যমে ফিক্সিংকে এডট্রেস করা থাকে। আমরাও সেটা নিয়ে কাজ করছি যেন বিভিন্ন টেকনোলজির মাধ্যমে ফিক্সিং সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা সম্ভব হয়।'

শুটিং ফেডারেশনের অস্ত্র ও গুলি দায়িত্বশীলদের যোগসাজশে জুলাই অভ্যুত্থানে ব্যবহার করা হয়েছে এমন মন্তব্যেরও ব্যাখ্যা দেন আসিফ মাহমুদ।

আসিফ মাহমুদ বলেন, 'স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এই কনসার্নটা আমাদের কাছে সরাসরি এসেছে।'

রোববার সন্ধ্যায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে দুঃস্থ ও সুবিধাবঞ্চিত ক্রীড়াবিদদের অনলাইনে ভাতা বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। ২০২৬ সাল থেকে মাসিক ২০০০ থেকে বাড়িয়ে ৩০০০ টাকা করার ঘোষণা দেন উপদেষ্টা।

এসএস