ফুটবল , অন্য সব খেলা
এখন মাঠে
অলিম্পিকে খেলতে মুখিয়ে আর্জেন্টাইন সিনিয়ররা
প্যারিস অলিম্পিকে খেলতে উন্মুখ হয়ে আছেন আর্জেন্টিনার সিনিয়র ফুটবলাররা। তবে বাধ সাধছে ক্লাব আর জাতীয় দলের ব্যস্ততা।

কোপা আমেরিকা, এরপর বিশ্বকাপ জয়ের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফুটবলে কয়েক যুগের ট্রফি খরা কাটানোর পর লিওনেল মেসিরা বেশ ফুরফুরে মেজাজেই আছেন। দেশের পক্ষে একাট্টা হয়ে লড়ার মত একদল নিবেদিত প্রাণ ফুটবলার খুঁজে পেয়েছে লাতিন দেশটি। তাই তো যেকোন আন্তর্জাতিক আসরে লড়তে মুখিয়ে থাকেন সবাই।

জুনে শুরু হচ্ছে আরও একটা কোপা আমেরিকার লড়াই। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টাইনদের মননে-মস্তিষ্কজুড়ে কেবলই এই আসরের ভাবনা। তবে আগবাড়িয়ে কেউ কেউ ভাবছেন জুলাইয়ের শেষদিকে শুরু হতে যাওয়া প্যারিস অলিম্পিক নিয়েও। কোপা মিশন শেষ করেই অলিম্পিকের লড়াইয়ে নামতে চান সিনিয়র দলের সদস্যরা।

অলিম্পিক সাধারণত অনূর্ধ্ব-২৩ দলের ফুটবলাররা খেলে থাকেন। তবে চাইলে সিনিয়র দলের ৪ জনকে সেখানে খেলানোর নিয়ম আছে। আর সেই সুযোগ নিয়ে হাভিয়ের মাসচেরানোর দলের হয়ে খেলতে চান লিওনেল মেসি-দি মারিয়ারা। ২০০৮ সালে অলিম্পিকে স্বর্ণজয়ের পর আর কখনো এই আসরে খেলা হয়নি মেসির। এবার সেখানে খেলার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন তিনি।

এবার অলিম্পিকে খেলার আগ্রহ জানিয়েছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজও।

দেশটির গণমাধ্যম ওলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'আমি এখনো মাসচেরানোর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাইনি। কিন্তু সে যদি চায় তাহলে আমি অবশ্যই তার দলের হয়ে খেলতে চাই। জাতীয় দলের গোলকিপার হিসেবে দেশের হয়ে যেকোন আসরে খেলা আমার জন্য গর্বের ব্যাপার এবং দেশ সবকিছুর আগে। সুতরাং সুযোগ পেলে আমি অবশ্যই খেলবো।'

বিশ্বকাপ জয়ের পর ফিফা দ্য বেস্ট জয়ী এই গোলকিপার এবার ক্লাবের হয়েও সাফল্যের দেখা পাচ্ছেন। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে তার ক্লাব অ্যাস্টন ভিলা আছে দারুণ ছন্দে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নিশ্চিতের দৌড়ে বেশ ভালোভাবেই আছে তারা। এই মূহুর্তে দলের নাম্বার ওয়ান গোলকিপারকে হারাতে চাইবে না ক্লাবটি। অলিম্পিকে এমি মার্তিনেজের খেলা তাই নির্ভর করছে ক্লাবের সিদ্ধান্তের ওপর।

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো ও নিকোলাস ওতামেন্দিও অলিম্পিকে খেলতে চান বলে জানিয়েছেন এমি মার্তিনেজ। তবে শেষ পর্যন্ত কাদের সুযোগ মিলবে সেটি এখন দেখার বিষয়। তবে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী তারকাদের আগ্রহের ফলে অলিম্পিকে ফুটবলেও সবার যে আলাদা নজর থাকবে সেটি নিশ্চিত করে বলাই যায়।

ইএ