লিওনেল মেসি ক্যারিয়ারে কত রেকর্ডই না গড়েছেন, রেকর্ড লুটিয়ে পড়েছে তার পায়ে। বল পায়ে রেকর্ডের লাল গালিচা মাড়িয়ে বেড়ানো মেসি, পিএসজি ছেড়ে ২০২৩ সালের মাঝামাঝিতে ইন্টার মিয়ামিতে যোগ দেয়ার পর মেন ইন পিঙ্করা জিতেছে দুটি শিরোপা। সেই আর্জেন্টাইন মহাতারকাই বা অপূর্ণ থাকবেন কেন? তার মাথায় উঠেছে এমএলএসের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের মুকুট।
৩৭ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড ইন্টার মায়ামির জার্সিতে চলতি বছর ১৯ ম্যাচ খেলে ২০ গোল করার পাশাপাশি ১৬টিতে অ্যাসিস্ট করেন। অথচ আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে কোপা আমেরিকা ও চোটের কারণে তিনি ৬২ দিন মাঠে ছিলেন না।
তা সত্ত্বেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে তিনি সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন। অবশ্য তার অনুপস্থিতি ভুগিয়েছে দলকে, শিরোপা হাতছাড়া হয়ে এমএলএসে। তবে এমএলএসের দুটি প্রেস্টিজিয়াস ট্রফির মধ্যে একটি সাপোর্টার্স শিল্ড জিতেছে মেসি-সুয়ারেজদের মায়ামি।
প্রথমবারের মতো মায়ামির এই অর্জনে সামনে থেকেই নেতৃত্ব ছিল মেসির। যার বদৌলতে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক এবারের এমএলএসে মোস্ট ভ্যালুয়েবল খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন। যে পুরস্কারটি দেওয়া হয় খেলোয়াড়, গণমাধ্যমকর্মী ও ক্লাবগুলোর ভোটে।
সম্মিলিত ভোটে ফুটবলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৮.৪৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন মেসি। কলম্বাস ক্রূর ফরোয়ার্ড কুচো হার্নান্দেজ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩.৭০ ভোট পান। মেসির সতীর্থ লুইস সুয়ারেজসহ সেই লড়াইয়ে আরও তিনজন থাকলেও, তারা ১০ শতাংশ ভোটও পাননি।
লিওর হাত ধরে অনেক বদলে গেছে আমেরিকান মেজর লিগ সকারের দর্শক উপস্থিতিতেও। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত খেলা দেখেছেন ১ কোটি ২০ লাখেরও বেশি ভক্ত। ইন্টার মায়ামির অধিনায়কের ছোঁয়ায় এলএমএসে দর্শক সংখ্যায় ছাড়িয়ে গেছে লা লিগা-বুন্দেসলিগার মতো প্রথম সারির লিগগুলোকে।
লিগটির নিয়মিত মৌসুমে এর চেয়ে বেশি দর্শক সংখ্যার আর কোনো মৌসুমে দেখা যায়নি। লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজদের দেখতে বেশ কিছু ম্যাচে ৬০ হাজারের বেশি দর্শক হাজির হয়েছেন আমেরিকার স্টেডিয়ামগুলোতে। যা বিগত মৌসুমগুলো থেকে কয়েকগুণ বেশি।