ক্রিকেটারদের ‘কমনসেন্সের অভাব’— বলছেন হাবিবুল বাশার

হাবিবুল বাশার, রাইজিং স্টার এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ
হাবিবুল বাশার, রাইজিং স্টার এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ | ছবি: এখন টিভি
0

২০১২ সালের এশিয়া কাপ, ২০১৬ তে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে টাইগারদের চাপে ভেঙে পড়ার দৃশ্যটা এখনও জ্বলজ্বল করে ক্রিকেটপ্রেমী স্মৃতিতে। এইতো রাইজিং স্টার এশিয়া কাপের সেমিতে প্রায়ই একই ভুলে ম্যাচ হেরে বসার উপক্রম। ভাগ্যগুণে সেই ম্যাচ জিতলেও ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে আবারও পুরনো রোগের পুনরাবৃত্তি। হাবিবুল বাশার এক কথায় বলেছেন কমনসেন্সের অভাব। বারবার এমনটা মেনে নেয়া যায় না।

এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়, জ্বলে-পুড়ে ছারখার তবু মাথা নোয়াবার নয়। শিহরণ সুকান্তের পঙক্তিগুলো অদ্ভুত সুন্দর কিন্তু ক্রীড়াঙ্গনে যেন তার বিপরীত চিত্র। শিরোপা নির্ধারণী কিংবা বড় ম্যাচে বারবারই চাপে পিষ্ট হচ্ছেন মুশফিক থেকে শুরু করে আকবর আলীরা। যার সবশেষ উদাহরণ রাইজিং স্টার এশিয়া কাপের ফাইনাল।

একবার না পারিলে দেখো শতবার। কালী প্রসন্ন ঘোষ চেষ্টার কথা বলেছিলেন। কিন্তু ভুল কতবার করা যায়। এশিয়া কাপের ফাইনালে আকবর আলীরা যা করলেন সেটা হাবিবুল বাশার বলছেন, কমনসেন্সের অভাব।

হাবিবুল বাশার বলেন, ‘কনসার্নের জায়গা কিন্তু আছে এ টুর্নামেন্টে। সেটা হলো, খেলার সময় যে প্রেসার হ্যান্ডেল করা আর কমনসেন্স প্রয়োগ করা। সে ভুলটা আমরা কয়েকবার করেছি। সেটা ভারতের সঙ্গেও হয়েছিল, ব্লান্ডার হয়েছিল। কোনোভাবে সেটা থেকে বের হয়ে ম্যাচটা জিততে পেরেছিলাম। ইমার্জিং দল হলেও সবাই কিন্তু ম্যাচিউর। তাদের কাছ থেকে এরকম মিসটেক আসলে আশা করা যায় না।’

ক্রিকেটারটা শট খেলবেন সেটা খুবই স্বাভাবিক কিন্তু বড় ক্রিকেটার হওয়ার জন্য ম্যাচ মোনেন্ট বোঝাটা গুরুত্বপূর্ণ। সাত উইকেট পড়ে যাওয়ার পড় টিভিই বন্ধ করে দিয়েছিলেন বাশার।

আরও পড়ুন:

তিনি বলেন, ‘থিঙ্কিংটা খুব জরুরি। আমরা ভালো চিন্তা করছি না। ফাইনাল খেলাতে আমরা চেজ করছিলাম ১২৫, আমরা কিন্তু ২২৫ চেজ করছি না যে, পাওয়ার প্লেতে ১০০ রান করতে হবে। এটা অনেকসময় যখন আপনার ভেতর আত্মবিশ্বাসের অভাব থাকবে, তখন আপনি পাওয়ার প্লে তেই রান করে ফেলতে চাইবেন। সেটা একটা কারণ হতে পারে, কিন্তু হতাশাজনক। কারণ এরা অনেকদিন হলে ক্রিকেট খেলছে। তারা নতুন ক্রিকেটার নন।’

অবশ্য সমালোচনার পাশাপাশি রাকিবুল-রিপন মন্ডলের জন্য প্রশংসাই ঝরেছে হাবিবুল বাশারের কথায়।

তিনি বলেন, ‘রিপনের বোলিং খুব ইম্প্রেসিভ ছিল। ব্যাটসম্যানকে রিড করে বল করেছেন, ভেরি ইম্প্রেসিভ। রাকিবুল তো আমাদের অনেকদিন হলে খেলছে। উইকেটের কনডিশন খুব ভালোমতো কাজে লেগেছে। এ দুইজন খেলোয়াড়ের একটা ভালো দিক ছিল যে, যখন বড় দলের সঙ্গে খেলছেন, বড় ব্যাটসম্যানের সঙ্গে খেলছেন, তখন কিন্তু নার্ভাস হচ্ছেন না।’

জয়ের কাছে গিয়েও হাস্যকর ভুল কিংবা টেম্বারমেন্টের অভাবে ব্যাখ্যাহীন ব্লান্ডার করে হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ টাইগারদের কাছ থেকে ফসকে গেছে বারবার। সেই বৃত্ত থেকে আকবর আলীরা আদৌ কি বের হতে পারবেন?

এসএস