বাংলাদেশ এমনিতেই টেস্ট ম্যাচ খেলে কম। তাই বাংলাদেশের কেউ ১০০টি টেস্ট খেলছেন, বছর কয়েক আগেও এমন স্বপ্ন ছিল দূরের বিষয়। সেই স্বপ্নই বাস্তবে রূপ দিলেন মুশফিকুর রহিম। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে শততম টেস্ট খেলার বিশেষ মুহূর্তটা সেঞ্চুরি দিয়েই রাঙিয়েছেন তিনি।
মঞ্চটা অবশ্য প্রস্তুত ছিল আগের দিনই। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র এক রান দূরে থেকে দিন শেষ করেছিলেন। সবার অপেক্ষা ছিল কখন তিনি তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করবেন। মিরপুরে দ্বিতীয় দিন সকালেই জর্ডান নিলের বলে সিঙ্গেল নিয়ে সেঞ্চুরি পূরণ করেন মুশি। তবে সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, আউট হন ১০৬ রান করে। তার ইনিংস আরও বড় না হওয়ার আক্ষেপ ছিল দর্শকদের মাঝে।
আরও পড়ুন:
দারুণ ব্যাটিংয়ে শতরানের জুটি গড়েন মুশফিক-লিটন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ সপ্তমবার ১০০ এর বেশি রানের জুটি গড়েন তারা। ১০৬ রানে মুশফিক ফিরলে ভাঙে এ জুটি। এরপর দিনের আলো নিজের দিকে টেনে নেন লিটন দাস। মিরাজের সঙ্গেও গড়েন শতরানের জুটি। এর আগে গতকাল (বুধবার, ১৯ নভেম্বর) মুমিনুল-মুশফিকের ব্যাটে শতরানের জুটি দেখেছিল বাংলাদেশ। মাত্র তৃতীয় দেশ হিসেবে টেস্টের একই ইনিংসে ৪র্থ, ৫ম ও ৬ষ্ঠ উইকেটে ১০০ রানের জুটি গড়ে টাইগাররা। এর আগে কেবল ভারত এবং পাকিস্তান একই কীর্তি গড়েছিল।
আরও পড়ুন:
লিটনের পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরিতে একসময় বড় পুঁজির স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। তবে শেষ দিকে দ্রুত উইকেট হারিয়ে ৪৭৬ রানেই গুটিয়ে যায় টাইগাররা। আয়ারল্যান্ডের অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো স্বাদ পান ফাইফারের। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১২৮ রান করেন লিটন। তার ইনিংসে মুগ্ধ হলেও আউট হওয়ার ধরণ নিয়ে হতাশ ছিলেন কেউ কেউ।
বল হাতেও দিনটা ভালোই কাটিয়েছে বাংলাদেশ। খালেদের আঘাতে পল স্টার্লিং ফেরার পর জোড়া উইকেটের দেখা পান হাসান মুরাদ। মিরাজ ও তাইজুল একটি উইকেট নেন। আর তাতে ৯৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে আইরিশরা। ৩৭৮ রানে পিছিয়ে থাকা আয়ারল্যান্ডের সামনে এখন ফলো অনের শঙ্কা। তৃতীয় দিন বাংলাদেশও নামবে আইরিশদের দ্রুত অল আউট করার লক্ষ্যেই।





