সিলেটে স্বপ্নীল একটা দিন পারলো বাংলাদেশ। টেস্টে সহসা এমন ব্যাটিংয়ের চিত্র চোখে পড়ে না। শুরুতে জয়-সাদমানের ব্যাটে শতরানের জুটি। এরপর মুমিনুলের ব্যাটেও রানের ফোয়ারা। জয়ের সেঞ্চুরির ছাড়াও, সাদমান-মুমিনুলের ফিফটি। টপঅর্ডারের তিন ব্যাটারই পেলেন বড় অংকের রান। বাংলাদেশের ক্রিকেটে এমন দিন এসেছে কমই। আর তাতে দ্বিতীয় দিনশেষেই ম্যাচের লাগাম নিজেদের হাতে নিয়ে নিয়েছে স্বাগতিকরা।
দিনের শুরু থেকেই দাপট। আগের দিন ৮ উইকেটে ২৭০ রান করা আইরিশরা, এদিন টিকতে পারলো মাত্র ১৪ বল। স্কোরবোর্ডে আর ১৬ রান যোগ করতেই বাকি ২ উইকেট তুলে নেন বাংলাদেশের বোলাররা। দিনের বাকি সময়টুকু কেবলই জয়-সাদমান-মুমিনুলদের।
আরও পড়ুন:
শুরু থেকেই সাবলীল ব্যাট চালাতে থাকেন দুই টাইগার ওপেনার। শান্ত-স্থির থাকলেও, বাজে বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে দ্বিধা করেননি কেউই। প্রথম সেশনেই দু'জনই তুলে নেন ফিফটি। জিম্বাবুয়ের সিরিজের পর আবারও উদ্বোধনী জুটিতে সেঞ্চুরি পায় বাংলাদেশ। জয়-সাদমান জুটিতে যেটি প্রথমবারই।
দু’জনই এগোতে থাকেন সেঞ্চুরির পথে। তবে ৮০ রানে থামেন সাদমান। ওপেনিংয়ে ১৬৮ রানের জুটিটাও ভাঙে।
তবে সাদমান যেখানে থামেন সেখান থেকেই শুরু করেন মুমিনুল হক। দিনশেষেও তার রান সাদমানের সমানই, ৮০। তবে এখনও অপরাজিত আছেন। তৃতীয় দিনে সেঞ্চুরির খোঁজে থাকবেন অভিজ্ঞ এ ব্যাটার।
তবে দ্বিতীয় দিনে স্পটলাইটের সব আলো একাই কেড়ে নিয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়। সিলেটে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। সাড়ে তিন বছরের সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ ঘুচিয়েছেন ১৬৯ রানের একটি অনবদ্য ইনিংস খেলে। তৃতীয় দিনে দল যেমন লিডটাকে পাহাড়সম বানানোর খোঁজে থাকবে, জয়ও নিশ্চয়ই চাইবেন নিজের ইনিংসটাকে ডাবল সেঞ্চুরির ল্যান্ডমার্কে পৌঁছাতে।





