বাংলাদেশের জার্সিতে ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে শ্রীলংকার বিপক্ষে ৩৪ বলে ৭০ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলেছিলেন জাকের আলী। ছক্কা মারার সহজাত ক্ষমতা আলাদাভাবে চিনিয়েছিল তাকে। জাকেরকে ধরা হচ্ছিল ফিনিশার রোলে দলের ভবিষ্যৎ। সেই জাকেরই এখন নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। ছক্কা মারাই যেন ভুলে গেছেন এ ব্যাটার।
নিজের খেলা শেষ ১১ ইনিংসে মাত্র দুটি ছয় মেরেছেন জাকের। সেটিও আবার একটি ইনিংসেই। এর মাঝে ছয় ইনিংসে দুই অংকের ঘরে পর্যন্ত যেতে পারেননি তিনি। যা এ উইকেটকিপার ব্যাটারের দুর্দশা বোঝাতে যথেষ্ট। এর পাশাপাশি তার ব্যাটিংয়ের ধরণ নিয়েও আছে সমালোচনা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রতি ম্যাচে ব্যাটিং বা ফিল্ডিংয়ের সময় দুয়োধ্বনি শুনতে হয়েছে জাকেরকে। ঘরের মাঠে খেললেও অবস্থা এমন ছিল যেন প্রতিপক্ষের মাঠে খেলছেন তিনি। জাকেরের ব্যাটিংয়ে হতশ্রী পারফরম্যান্সের পেছনে ত্রুটি খুঁজে পেয়েছেন বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
আরও পড়ুন:
বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, ‘এটি সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য যে নতুন আসে তাদের ওপর এক্সপেকটেশন আসে না। তারা ফ্রি মাইন্ড নিয়ে খেলতে পারে। তাদের ব্যাপারে বিপক্ষ দলেরও অনেক কম জানা থাকে। সফলতা এক্সপেকটেশন তৈরি করে। পাশাপাশি বিপক্ষ দলও তাদের নিয়ে গবেষণা করে। সবকিছু মিলিয়েই একধরণের চাপ তৈরি হয়। তবে তারা এর মধ্যে থেকে বের হয়ে আসতে পারে। আশা করব জাকের আলীও এর মধ্যে থেকে বের হয়ে আসতে পারবে।’
শুধু জাকের নন, ধারাবাহিক ব্যাটিং ব্যর্থতার মাঝে আছে পুরো দলই। এ অবস্থায় ফরম্যাটভেদে ব্যাটিং কোচ আলাদা করার বিষয়ে ভাবছে বিসিবি।
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাটিং করছে ব্যাপারটি কনটিনিউআস প্রসেস। অনেক দেশেই আছে যেখানে সাদা বলের জন্য একজন কোচ থাকে, লাল বলেন জন্য একজন কোচ থাকে। আমরা সবসময়ই বলি আমরা এখানে কি করতে পারি। কেউ আলোচনায় নেই সেহেতু আমাদের চিন্তায় আছে কি করে আমরা আরও সুন্দরভাবে সাজাতে পারি।’
সবমিলিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং পারফরম্যান্সে বিরক্ত দর্শকরা। বোলাররা মাঝেমাঝে ভালো করলেও ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বারবার হাতছাড়া হচ্ছে সাফল্য। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভালো করতে চাইলে দায়িত্ব নিতে হবে পুরো ব্যাটিং ইউনিটকেই।





