মিরপুরের সেন্টার উইকেটে ব্যাটার-বোলারদের ব্যস্ততা। পাশেই বহুল চর্চিত কালো রঙের পিচ। উইন্ডিজ সিরিজের শুরু থেকেই আলোচনায় মিরপুরের ধীরগতির উইকেট। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে বাংলাদেশ আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুই দলই ব্যস্ত পিচ কেন্দ্রিক পরিকল্পনা নিয়ে। দুই দলের অনুশীলনেই ব্যাটিং ছিল বাড়তি প্রাধান্য। শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে আরও একটা স্পিন দ্বৈরথের জন্য চলছে অপেক্ষা।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ জানালেন অনুশীলনের নানাদিক। মাঝের ওভারগুলোতে ব্যাটারদের রান তোলার প্রতি বাড়তি জোর দিতে অনুশীলনেও ছিল বৈচিত্র্য।
মুশতাক আহমেদ বলেন, ‘আমরা অনুশীলনের আবহটা অনেকটা ম্যাচের আবহের কাছাকাছি আনার চেষ্টা করছি। ব্যাটারদের জন্য মাসল মেমোরির বিষয়ে কাজ করাটা গুরুত্বপূর্ণ। তাদের বোঝানোর চেষ্টা করানো হয়েছে, কাল আমরা খেলবো। ফিল সিমন্স ব্যাটারদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন পরিস্থিতিটা এরকম, খেলার মাঝে সময়গুলো এমন হতে পারে, তখন কী করা প্রয়োজন। কীভাবে সিঙ্গেল বের করা যাবে, রানের চাকা সচল করা যাবে।’
আরও পড়ুন:
অনুশীলনে টাইগার ব্যাটাররা নেমেছিলেন তুলনামূলক ছোট ব্যাট নিয়ে। মুশতাক অবশ্য খোলাসা করেছেন এর পেছনের কারণটাও।
মুশতাক আহমেদ বলেন, ‘ছোট ভ্যাট দিয়ে অনুশীলনের মূল কারণ স্পিন বলে ব্যাটারদের গ্র্যাভিটি নিয়ে কাজ করা, যেন তাদের মাথা বলের কাছে থাকে। টার্নিং পিচে আপনি যদি ফুটওয়ার্কের কিছুটা অলস হয়ে পড়েন তাহলে স্পিনাররা আপনার উইকেট নিয়ে নেবে। ছোট ব্যাট দিয়ে কাজের মূল উদ্দেশ্যই হলো ফ্রন্টফূট বা ব্যাকফুট যেটাই খেলা হোক, গ্র্যাভিটি লেভেল যেন নিচে থাকে।’
সিরিজের প্রথম ম্যাচে উইন্ডিজদের ব্যাটিংয়ে শুরুটা ছিল উড়ন্ত। যদিও স্পিন সহায়ক উইকেটে পরবর্তীতে খেই হারান ক্যারিবিয়ান ব্যাটাররা। স্পিনার ক্যারি পিয়েরে জানালেন, ম্যাচ জয়ের চ্যালেঞ্জটা নিতে হবে ব্যাটারদেরই।
চলতি দশকে ওয়ানডে ক্রিকেটে শীর্ষ দশ দলের মধ্যে বাংলাদেশ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজই ৫০ শতাংশের বেশি ম্যাচ হেরেছে। ম্যাচ হারের দিক থেকেও তারাই সবার ওপরে। বাংলাদেশ অবশ্য আছে দুই বিবেচনাতেই উইন্ডিজদের তুলনায় পিছিয়ে। চলমান এই সিরিজটা তাই দুই দলের জন্যই ওডিআই ফরম্যাটে মান বাঁচানোর লড়াই।





