পাকিস্তানের লক্ষ্য ১৩ বছর পর এশিয়া কাপ শিরোপার স্বাদ নেওয়া। অন্যদিকে রেকর্ড নবমবারের মত এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট মাথায় পরতে মুখিয়ে ভারত। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পাকিস্তানকে সাত উইকেটে হারায় ভারত। সুপার ফোরেও জয়ের স্বাদ পায় তারা। সর্বশেষ ২০২২ সালের ফাইনালে উঠেছিল পাকিস্তান। ফাইনালে শ্রীলংকার কাছে ২৩ রানে হেরেছিল তারা। ২০০০ ও ২০১২ সালে এশিয়া কাপের শিরোপা জেতে পাকিস্তান।
অন্যদিকে এশিয়া কাপে সবচেয়ে বেশি আটবার শিরোপা জয়ের রেকর্ড ভারতের দখলে। মোট ১১ বার ফাইনাল খেলেছে তারা। চলতি এশিয়া কাপে এখন পর্যন্ত একমাত্র অপরাজিত দল ভারত। গ্রুপ পর্বে ও সুপার ফোরে সমান তিনটি করে ম্যাচ জিতেছে তারা। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সব মিলিয়ে ১৫বার মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। এরমধ্যে ভারত ১১বার ও পাকিস্তান তিনবার জিতেছে। একমাত্র টাই হওয়া ম্যাচে বোল আউটে জয় পায় ভারত।
আরও পড়ুন:
এবার অবশ্য আনপ্রেডিক্টেবল বলারও উপায় নেই। নিশ্চিতভাবে ভারতের পক্ষে বাজি ধরতে পারবেন যে কেউ। দু'দলের শক্তিমত্তার পার্থক্য এমনই। তবে শ্রীলঙ্কা ম্যাচে চোট পাওয়া অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডেকে শেষ পর্যন্ত একাদশে না পেলে কিছুটা বিপদেই পড়বে ভারতীয়রা। এ ম্যাচে যশপ্রীত বুমরাহ ফিরছেন নিশ্চিতভাবেই। ফিরছেন শিভাম দুবেও।
পরিবর্তনের আভাস নেই পাকিস্তানের একাদশে। টপ অর্ডার ব্যাটার সাইম আইয়ুব ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও, বল হাতে তার সাফল্যের কারণে থেকে যাচ্ছেন একাদশে। ফখর জামান, ফারহান কিংবা তালাত-নেওয়াজদেরও একাদশেই রাখবেন ক্যাপ্টেন সালমান। শাহিন আফ্রিদি, হারিস রউফরা থাকবে বোলিং আক্রমণের নেতৃত্বে।
দুবাইয়ে বাসন্তি আবহাওয়ায় নিজেদের দুর্বলতা ঢেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কি পাকিস্তান? নাকি আরও একবার শত্রু বধের উল্লাসে মাতবে ভারত? দেখার অপেক্ষা।





