বাঁচা-মরার লড়াইয়ে জয়, সুপার ফোরে পাকিস্তান

সুপার ফোর নিশ্চিত করলো পাকিস্তান
সুপার ফোর নিশ্চিত করলো পাকিস্তান | ছবি: সংগৃহীত
0

বাঁচা মরার লড়াইয়ে স্বাগতিক আরব আমিরাতকে ৪১ রানে হারিয়ে এ গ্রুপ থেকে ভারতের সাথে সুপার ফোরে জায়গা করে নিলো পাকিস্তান। ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে টসের পর সৌজন্যতামূলক হ্যান্ডশেক করেননি দুই দলের অধিনায়ক। ম্যাচ শেষে পাক ক্রিকেটাররা হাত মেলাতে চাইলেও, সাড়া দেননি ভারতীয়রা। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসর বয়কটের হুমকি দেয় পাকিস্তান। ম্যাচ শুরুর ঘণ্টা খানেক আগেও হোটেলে অবস্থান করে তারা। তবে সব জল্পনাকে পেছনে ফেলে সুপার ফোরে জায়গা করে নিলো সালমান আলি আঘারা।

আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে সবার অপেক্ষা। মাঠে গড়াবে তো খেলা? নাকি আসর বর্জন করবে পাকিস্তান? যে ম্যাচ অনিশ্চয়তার ঘনঘটা সেই ম্যাচ জিতেই সুপার ফোরে নিজেদের জায়গা পাকা করলো সাল মান আলি আঘার শিষ্যরা।

ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের ইঙ্গিত দেয় স্বাগতিকরা। তবে ১২ রান করা শারাফুকে বোল্ড আউট করেন আফ্রিদি। আরেক ওপেনার ওয়াসিমকে ১৪ রানে নাওয়াজের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন আবরার। কিছুক্ষণ পরেই ৪ রান করা জোহায়েবকে বোল্ড করেন সায়েব আয়ুব আয়ুব।

আরও পড়ুন:

৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা আরব আমিরাতকে পথ দেখান দুই মিডল অর্ডার ব্যাটার রাহুল চোপরা ও ধ্রুব। দুজনের ৫৫ রানের জুটিতে জয়ের আশা উকি দিলেও দুজনের বিদায়ে খেই হারায় স্বাগতিকরা। শেষ পর্যন্ত নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালে ৪১ রানের জয় পায় পাকিস্তান।

এর আগে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠান আরব আমিরাত অধিনায়ক। শুরুতে দুই উইকেট হারালেও মিডল অর্ডারে ফাখার জামানের ৩৬ বলে ৫০ ও অধিনায়ক সালমানের ২০ রানের প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেয় পাকিস্তান। তবে দ্রুত সময়ের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে আবার ও বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান। শেষ দিকে মোহাম্মদ হারিসের ১৪ বলে ১৮ ও শাহীন আফ্রিদির ১৪ বলে ২৯ রানের ক্যামিও ইনিংসে ১৪৬ রানের পুঁজি পায় পাকিস্তান।

ম্যাচের আগে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আসর বর্জনের কথা ভাবছিলো পাকিস্তান। তবে পাকিস্তান বোর্ড প্রেসিডেন্ট মহসিন নাকভি খেলা চালিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন। পিসিবি প্রধান ও পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয় খেলার ব্যাপারে।

ইএ