একসময়ের প্রতাপশালী ক্রিকেট বোর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজ এখন যেন অস্তগামী সূর্য!

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড | ছবি: সংগৃহীত
0

ওয়েস্ট ইন্ডিজ! আটলান্টিকের পাড়ে অনেকগুলো দেশকে এক সুতোয় বেধে রেখেছে এই ক্রিকেট বোর্ড। একসময়ের প্রবল প্রতাপশালী এই ক্রিকেট বোর্ড এখন যেন আটলান্টিকের বুকে এক অস্তগামী সূর্য। শেষ দুই বছরে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচে হার, শেষ ১৫ ম্যাচে মাত্র ১ জয় উইন্ডিজ ক্রিকেটের ভগ্নদশারই এক জীবন্ত চিত্র।

এ যেন পুরাতন রাজার সাম্রাজ্য হারানোর গল্প। একসময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের নামটাই যেখানে প্রতিপক্ষের বুকে কাঁপুনি ধরিয়ে দিতো, তাদেরকেই আজ হারানো যায় অনায়াসে। সত্তর কিংবা আশির দশকের দাপুটে সেই দলটি এখন জিততেই ভুলে গিয়েছে। সবশেষ টানা ৬ টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই হেরেছে দলটা। যার শেষটা এসেছে পাকিস্তানের বিপক্ষে। এই নিয়ে ২০২৫ সালে ১০ ম্যাচের মধ্যে ৯ ম্যাচেই হেরেছে ক্যারিবিয়ানরা।

চলতি বছর টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে সংক্ষিপ্ত এই ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হেরেছে ক্যারিবিয়ানরাই। পাকিস্তানের ৬ আর বাংলাদেশের ৭ হার তারা টপকে গিয়েছে দুই ম্যাচ কম খেলেই। নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে টানা সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হারের রেকর্ডটাও এরইমাঝে দেখে ফেলেছে ড্যারেন স্যামির শিষ্যরা। অথচ, এই দলটাই বিগত ১২ বছরে দুইবার জিতেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।

অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটে দুর্দশা কেবল টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেই থেমে নেই। টেস্ট এবং ওয়ানডে ফরম্যাটেও বেশ আগে থেকেই ধুঁকছে একসময়ের প্রতাপশালী দলটি। ২০২৪ সালের শুরু থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হারা দলও তারা। বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান এই সময় হেরেছে ৩৮ ম্যাচ। জিম্বাবুয়ে হেরেছে ৩৩ ম্যাচ। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিগত ২০ মাসে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে হেরেছে ৪১ ম্যাচ।

বৈশ্বিক ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারদের অতিরিক্ত চাহিদা, দুর্বল ক্রিকেটীয় কাঠামো এবং আর্থিক অসঙ্গতির কারণে বিগত এক দশকে ধীরে ধীরে নিজেদের অনেক তারকাকেই জাতীয় দল থেকে হারিয়ে ফেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সাবেক কিংবদন্তিদের জড়ো করেও মেলেনি ফর্মে ফেরার পথ। দুঃসময়ে ঘুরপাক খাওয়া ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট কীভাবে মুক্তি পাবে, সেই সমাধানও যেন এক দুর্বোধ্য বিষয়।

সেজু