হতাশা হোক কিংবা মনের কথা, গেলো কয়েক বছরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পারফরম্যান্সই যেন সাবেক অধিনায়কের কথার স্বার্থকতা প্রমাণ করছে।
খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, ‘কে বলেছে আমরা ভালো দল? আমি তো বলি যে আমরা ভালো দল হয়ে উঠতে পারিনি।’
গেল মাসেই ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে লজ্জাজনক হার, কিংবা শারজায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচ হার। খালেদ মাসুদ পাইলটের কাছে এসব হারের ব্যাখ্যা একটাই, ক্রিকেটারদের মেধার ঘাটতি।
খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, ‘এটা পুরোটাই মেধার ঘাটতি। কোন সময় কোন জিনিসটা করতে হবে সেটার প্রয়োগটা খুবই কম। ওভারঅল আমার কাছে মনে হয় আরো কোয়ালিটি ক্রিকেট খেলা উচিত ছিল বাংলাদেশের জন্য।’
বাংলাদেশে এ দলের কোচ মিজানুর রহামান বাবুল বলেন, ‘আমাদের খেলোয়াড়দের আরও স্কিলফুল হতে হবে। ছয়টা বল আসছে ৬ মারার, আমরা তিনটা মারতে পারছি আর তিনটা মারতে পারছি না। এটাই স্কিলের উন্নতির জায়গা যে আমি ছয়টা বলের মধ্যে পাঁচটা ৬ মারতে পারবো।’
সাম্প্রতিক সময়ে আবারো ফিল্ডিংয়ে দৈন্যদশা বাংলাদেশের। যার কারণে পুরো দলের ওপরেই পড়ছে নেতিবাচক প্রভাব।
খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ মোমেন্টে একটা ক্যাচ ছেড়ে দিয়ে মানসিকভাবে সবার মধ্যে কিন্তু একটা ইফেক্ট করে। যে ছাড়ছে তার মধ্যে যেমন হয় এবং বাকি ১০ জনের মাথার মধ্যে কিন্তু থাকে যে মেইন ক্যাচটা ছেড়ে দিছে। সবাই এটা নিয়ে চিন্তায় থাকে। পরে দেখা গেলো আবার একটা ক্যাচ ছাড়লো। তখন কী হয়, যারা ক্যাচ ধরা জানে, খুব ভালো ফিল্ডার, তাদের মধ্যেও কনফিডেন্সটা হারিয়ে যায়। আমার কাছে মনে হয়, পুরো দলের মধ্যে বেশিরভাগ নেগেটিভ জিনিসগুলো কাজ করছে। যার জন্য দলের মধ্যে অন্যান্য খেলোয়াড় ভিতু হয়ে পড়ছেন।’
এরই মধ্যে পাকিস্তান সফর নিশ্চিত হয়েছে। তবে ক্রিকেটারের আবদারের প্রেক্ষিতে ৫ ম্যাচের পরিবর্তে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাবেক এই অধিনায়ক।
খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, ‘পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে চিন্তা করলে, পাকিস্তানের মতো দলের সঙ্গে তো সব সময় ম্যাচ খেলা যাবে না। আমি তো মনে করি, তিনটার জায়গায় সাতটা ম্যাচ খেলেন। যেহেতু আমার লিগ, বিপিএলের মান ভালো না সেহেতু আমি যতবেশি ম্যাচ খেলবো পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তানের মতো কোয়ালিটি দলের সঙ্গে খেলা হবে তখন নিজেদের ইমপ্রুভের গ্রাফটা ওপরের দিকে যাবে।’
খারাপ সময় থেকে উত্তরণের জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় জোর দিলেন খালেদ মাসুদ পাইলট।