মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেন, ‘পিএসএল শুরু হতে যাচ্ছে, এখানে বিদেশি ক্রিকেটাররা আসছে কি না, সেটার ওপর নির্ভর করেই কিন্তু বাংলাদেশের সিরিজটা হবে।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে সরকার থেকে সবুজ সংকেত পেয়েছে বিসিবি, তবে আনুষ্ঠানিকভাবে আসেনি কোনো ঘোষণা।
সবকিছু বিবেচনা করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে ক্রিকেট বোর্ড এমনটাই জানালেন, বিসিবির চিফ কো অর্ডিনেটর অব প্রোগ্রাম মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।
নান্নু বলেন, ‘সবকিছু মিলিয়ে খেলোয়াড়দের মন মানসিকতা কেমন, যাওয়ার ব্যাপারে, সেটা দেখতে হবে। সেক্ষেত্রে বিসিবির চিন্তা-ভাবনা করেই সিদ্ধান্তটা নেয়া উচিৎ এবং আমি মনে করি এটা কিন্তু কঠিন একটা সিদ্ধান্ত। কারণ ওখানে বর্তমান পরিস্থিতি কী, আমরা তো সে ব্যাপারে কিছুই জানি না। সেখানে গিয়ে প্রায় ১০ দিনের মতো থেকে আমাদের ম্যাচগুলো খেলতে হবে। তো বিসিবি বুঝেশুনে সিদ্ধান্তটা নেবে, আমরা সেটাই চাইবো।’
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বেশ খানিকটা পিছিয়ে লাল-সবুজরা। গেল কয়েক বছরে নেই উল্লেখযোগ্য কোন সাফল্য। তবে নতুন অধিনায়কের অধীনে ভালো করবে টিম বাংলাদেশ, এমনটাই জানালেন এই বিসিবি কর্মকর্তা।
নান্নু বলেন, ‘সে নতুন অধিনায়ক হয়েছে। তার জন্য বেস্ট উইশেস থাকবে যেন তার অধীনে দল ভালো কিছু করতে পারে।’
আইপিএল ও পিএসএলে সবচেয়ে অভিজ্ঞ দুই খেলোয়াড় মুস্তাফিজ ও সাকিব। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে তাদের হাত ধরে বাংলাদেশের তরুণ খেলোয়াড়দের সুযোগ মিললে দেশের ক্রিকেটের জন্য বড় অর্জন হবে বলে মনে করেন নান্নু।
বাংলাদেশে তিন ফরম্যাটে পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্যাকআপ খেলোয়াড় না থাকলেও ‘এ’ দল, ইমার্জিং দল, এইচপি ও টাইগার্স টিমের নিয়মিত খেলা থাকায় সামনের বছরগুলোতে জাতীয় দলে মিলবে বেশ কিছু সাফল্য এমনটাই প্রত্যাশা সাবেক ক্রিকেটারের।
মিনহাজুল আবেদিন বলেন, ‘আমরা তো সবসময়ই চাচ্ছিলাম যে আমাদের ‘এ’ দলের স্থায়ী একটা কম্বিনেশন থাকুক। ঘরোয়া লিগগুলো শুরু হওয়ার আগে এবং পরে অন্যান্য দেশের ‘এ’ দলের সাথে যেন একটা দ্বিপাক্ষিক সিরিজ পায়। সেই সঙ্গে হাই পারফরম্যান্স টিমের ও দরকার পড়তে পারে।’