বিপিএলে টিকে থাকার আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে জিততেই হবে। এমন সমীকরণ সামনে রেখে শক্তিশালী রংপুর রাইডার্সের মুখোমুখি খুলনা টাইগার্স।
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে মিরাজের দল। উড়ন্ত সূচনা করেন দুই ওপেনার মেহেদী মিরাজ ও মোহাম্মাদ নাইম। ১২ বলে ২১ রান করে মিরাজ আউট হলেও মোহাম্মদ নাইম ছিলেন অপরাজিত।
৬২ বলে ৭টি চার আর ৮টি ছক্কায় নাইম খেলেন ১১১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। শেষদিকে উইলিয়াম বোসিস্টের ২১ বলে ৩৬ ও অঙ্কনের ১৫ বলে ২৯ রানে ২২০ রানের বড় পুঁজি পায় খুলনা।
পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় রাইডার্স। মাঝে ইফতিখার, শেখ মেহেদি ও সাইফুদ্দিনকে নিয়ে জুটি গড়েন সৌম্য সরকার। একদিক আগলে রেখে ঝোড়ো ফিফটি তোলেন সৌম্য।
নবম ব্যাটার হিসেবে আউট হবার আগে ৭৪ রান করেন এ বাঁহাতি। বাকি ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১৭৪ রানেই থামে রংপুরের ইনিংস। টানা ৮ জয়ের পর টানা ৪ হারের মুখ দেখে সোহানের দল।
দিনের আরেক ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সের মুখোমুখি হয় চিটাগাং কিংস। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্রুতই পারভেজ ইমন ও গ্রাহাম ক্লার্ককে হারায় চিটাগাং। তবে খাজা নাফে ও অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়ায় দলটি।
দুজনের ব্যাটেই আসে ৫২ রান করে। শেষদিকে শামীমের ৩৮ আর খালেদ আহমেদের ২৫ রানের ক্যামিও ইনিংসে ১৯৬ রানের সংগ্রহ পায় চিটাগাং কিংস।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপিএলে অভিষিক্ত জাওয়াদ আবরারকে হারায় সিলেট। দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন আরেক ওপেনার রনি তালুকদার ও জাকির হাসান।
তবে দলীয় ৩৮ রানেই দুই ব্যাটারকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান শরিফুল ইসলাম ও খালেদ আহমেদ। ফলে বিপদে পড়ে স্ট্রাইকাররা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে মাত্র ১০০ রানে গুটিয়ে যায় দলটি।