হারের বৃত্তে বন্দি ঢাকার শুরুটা ছিল আগ্রাসী। একাদশে ফেরা হাবিবুর রহমান সোহান ও জেসন রয় মিলে ৩ ওভারে আনেন ২৮ রান। কিন্তু কেউই ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। পজিশন পাল্টে তিনে নামা তানজিদ হাসান তামিমও ছিলেন আক্রমণাত্মক মেজাজে। তিনিও আশা জাগিয়ে বোল্ড হন ইফতিখার আহমেদের বলে।
নিয়মিত উইকেট খোয়াতে থাকলেও ঢাকার রান তোলার গতি ছিল ভালো। মূলত, অতি আগ্রাসন দেখাতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনে তাদের টপ অর্ডার। ৭ ওভারে ৩ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৬২ রান ওঠায় পরের ব্যাটারদের সুযোগ ছিল ভিতকে কাজে লাগিয়ে দলকে ভালো পুঁজি দেওয়ার।
তবে সাব্বির রহমান, থিসারা পেরেরা আর লিটন দাসের ব্যর্থতায় টানা পাঁচ উইকেট হারানো ঢাকার ১০০ পার হয় মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও আলাউদ্দিন বাবুর কল্যাণে। মোস্তাফিজুর রহমানকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে ঢাকার দুর্দশার ইতি ঘটান আকিফ জাভেদ। ২১ বল বাকি থাকতেই ১১১ রানে থামে দলটি।
ছোট সংগ্রহ তাড়ায় চতুর্থ ওভারে আজিজুল হাকিম তামিমকে হারায় রংপুর।
এরপর সাইফ হাসানকে নিয়ে ৩০ বলে ৪৪ রানের জুটি গড়েন হেলস। তাদের দুজনের বিদায়ের পর ইফতিখারকে নিয়ে ২১ বলে ৪১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ম্যাচ শেষ করে দেন খুশদিল।
দিনের আরেক ম্যাচেও যেন প্রথম ম্যাচের পুনরাবৃত্তি। আগের দিনেই দুইশ পেরোনো সিলেট একদিন বাদেই নিজেদের যেন হারিয়ে খুঁজেছে স্বাগতিকরা।
ব্যাট হাতে স্বাগতিক দর্শকদের বিনোদন দিতে পারলেন না সিলেট স্ট্রাইকার্সের ক্রিকেটাররা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই ওপেনার রনি তালুকদার বিদায় নিলেও রাকিম কর্নওয়াল, জাকির হাসান, জর্জ মানসিদের ঝড়ো ইনিংসে ৭ ওভারেই তারা স্কোরবোর্ডে ২ উইকেটে ৭০ রান জমা করেন তারা।
সেখান থেকে হতশ্রী ব্যাটিংয়ে একশ ছোঁয়ার আগেই ৮ উইকেট খুইয়ে বসে দলটি। শেষদিকে আরিফুল হকের ৩৬ রানের লড়াকু ইনিংসে ১২৫ পর্যন্ত পৌঁছাতে সমর্থ হয় তারা।
১২৬ রান তাড়ায় ৬ রানে ২ উইকেট নেই ফরচুন বরিশালের। সিলেট স্ট্রাইকার্সের মতোই ব্যাটিং ধস নামবে এমন শঙ্কা তখন একটু একটু করে উঁকি দিচ্ছিল। তবে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বরিশালের দুয়ারে এমন কিছু চাপতে দেননি কাইল মেয়ার্স ও তাওহীদ হৃদয়। ছোট লক্ষ্য বরিশাল পেরিয়ে গেছে ৫৭ বল ও ৭ উইকেট বাকি থাকতেই। এই জয়ে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে উঠেছে বরিশাল।