বিপিএলে জমকালো আয়োজনে শেষ হয়েছে ঢাকা পর্বের খেলা, চলতি আসরে রান বন্যায় ভেসেছে মিরপুরের হোম অব ক্রিকেট। তবে মাঠের খেলা জমলেও এ আসরে যেন অবহেলিত দেশিয় ক্রিকেটাররা।
শুরুটা বর্তমান চ্যাম্পিয়ান ফরচুন বরিশালকে দিয়ে। শিরোপা ধরে রাখার মিশনে শক্ত দল গড়েছে তামিম ইকবালের বরিশাল। দলে আছেন ২০২৪ সালে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী রিশাদ হোসেন। তবে বছরজুড়ে নজরকাড়া পারফরম করেও দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে যেন উপক্ষিত এই লেগ স্পিনার।
গেল বছর রিশাদের স্পিনিং ভেলকি নজর কাড়ে বিগব্যাশের দল হবার্ট হারিকেন্সের। ড্রাফট থেকে তাকে দলে ভেড়ায় রিকি পন্টিংয়ের দল। তবে নির্দিষ্ট সময়ের অনাপত্তিপত্র না থাকায় শেষ পর্যন্ত রিশাদের বদলি হিসেবে আফগান স্পিনার ওয়াকার সালামখিলকে দলে নেয় হারিকেন্স।
গুঞ্জন ছিল দলের প্রথম সারির ক্রিকেটার হওয়ায় রিশাদকে বিগব্যাশের জন্য ছাড়তে রাজি হয়নি ফ্র্যাঞ্চাইজি বরিশালও। পরিকল্পনা এমন যে প্রতি ম্যাচেই তাকে রাখা হবে একাদশে। তবে ঢাকা পর্বের তিন ম্যাচ পার হলেও সুযোগ পাননি, গেল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী। অথচ চাইলেই একই সময়ে হারিকেন্সের হয়ে অন্তত পাঁচ ম্যাচে সুযোগ পেতেন তিনি।
পরের নামটা সাব্বির রহমান, দেশের ক্রিকেটে হার্ড হিটার নামে যিনি বেশি পরিচিত। সম্প্রতি লঙ্কান টি-টেন লিগেও ২০০ এর বেশি স্ট্রাইকরেটে খেলেছেন তিনি। দলকে টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন করে ফিরেছেন দেশে। তবে বিদেশি লীগে গুরুত্ব পেলেও বিপিএলে নিজ দল ঢাকা ক্যাপিটালসের হয়ে যেন অবহেলিত এই ক্রিকেটার। রিদমে থাকা সাব্বিরের জায়গায় একাদশে সুযোগ পাচ্ছেন আমির হামজা, শুভাম রাঞ্জান, চাতুরাঙ্গার মতো ক্রিকেটার। অফফর্মে থাকা বিদেশিদের জায়গা দিতে অবহেলিত হচ্ছেন দেশের ক্রিকেটাররা। অথচ চলতি আসরে সর্বোচ্চ তিন ম্যাচ খেলে তিন পরাজয়ের শিকার শাকিব খানের দল ঢাকা।
ক্রিকেটের উন্নয়নে যখন অন্য দেশগুলো নিজেদের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে গুরুত্ব দেয় দেশি ক্রিকেটারদের, তখন ভিন্ন চিত্র বাংলাদেশে। বিদেশিদের খেলাতে দলগুলোর এমন প্রতিযোগিতা যেন পিছিয়ে দিচ্ছে দেশি ক্রিকেটারদের মনোবল।