ক্রিকেট
এখন মাঠে
0

শচীনের পোস্টে আলোচনায় রাজস্থানের এই খুদে বোলার

ভারতের রাজস্থানের এক প্রত্যন্ত গ্রামের ১০ বছরের মেয়ে সুশীলা মীনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিনার একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন মাস্টার ব্লাস্টার শচীন টেন্ডুলকার। আর তাতেই রাতারাতি তারকা বনে গেছেন রাজস্থানের এই মেয়েটি।

ভারতের রাজস্থানের এক প্রত্যন্ত গ্রামের ১০ বছরের মেয়ে সুশীলা মীনা। কিছুদিন আগেও ছোট্ট মেয়েটি ছিল আট-দশটি সাধারণ মানুষের মতো। ক্রিকেটে হাত পাকাতে চেষ্টা করা মিনাকে মনে ধরেছে ভারতীয় কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের।

পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশুনা করা এই শিক্ষার্থীর বোলিং অ্যাকশন হুবহু ভারতের সাবেক পেসার জহির খানের মতো। বোলিং অ্যাকশন তো বটেই, এমনকি বল ছাড়ার আগ মুহূর্তের লাফেও জহির খানের সঙ্গে দারুণ মিল মিনার। স্কুল শেষ হলেই রাবার বলে চলতে থাকে তার অনুশীলন। প্র্যাকটিসে লাজুক মেয়েটিই হয়ে যায় অকুতোভয়, শক্তিশালী ও মনোযোগী ছাত্রী।

খালি পায়ে দৌড়ে সুশীলার বোলিংয়ের একটি ভিডিও সর্বপ্রথম ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন সুশীলার কোচ ঈশ্বরলাল। সামাজিক মাধ্যমে সেটি ভাইরাল হয়। এরপর শচীন টেন্ডুলকার এক্সে ভিডিওটি পোস্ট করেন।

পোস্টের ক্যাপশনে ক্রিকেট কিংবদন্তি লেখেন, ‘মসৃণ, ছন্দময়। এমন বোলিং দেখে চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছে। সুশীলা মিনার বোলিং অ্যাকশনে জহির খানের ছায়া রয়েছে।’ পোস্টে জহির খানকেও ট্যাগ করেন টেন্ডুলকার।

রাজস্থানের এই কিশোরীর বোলিং অ্যাকশন দেখে শচীন যেমন মুগ্ধ হয়েছেন, তেমনি ভারতীয় সাবেক পেসার জহির খানও তাকে নিয়ে নিজের উচ্ছ্বাস জানিয়েছেন। তার বোলিং দেখে জহির খান বলেন ক্রিকেটের প্রতি এখনই মেয়েটির নিবেদন দারুণভাবে ফুটে উঠেছে।

কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, যিনি তাকে বিখ্যাত করেছেন, সেই ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারকে চেনেন না মেয়েটি। কারণ, তার বাসায় নেই কোনো টেলিভিশন এবং সে কখনও টিভিতে ক্রিকেট দেখেওনি। মিনা জানায়, সে শচীনের কাছে কৃতজ্ঞ।

সুশীলার স্কুলে সবাই ক্রিকেট খেলে অভ্যস্ত। এর পুরো কৃতিত্ব কোচ ইশ্বরলালের। মূলত এই কোচই অবসরে সবাইকে ক্রিকেট খেলতে অনুপ্রেরণা দেন। সামাজিক মাধ্যমে আছে খেলার পেইজ। সুশীলা রাবার বল দিয়ে অনুশীলন সারলেও কোচ চান আর ও ভালো পর্যায়ে খেলুক সে।

শচীনের ভিডিওর পর থেকে রাজনীতিবিদ, সমাজকর্মী থেকে শুরু করে সবাই সুশীলার সঙ্গে দেখা করতে আসছেন এবং ছবি তুলছেন। যদিও সুশীলা একজন বোলার তার বাড়ি ব্যাটের উপহারে ভরে গেছে। সুশীলার মা শান্তিবাই তার মেয়ের অর্জনে গর্বিত। নিষ্পাপ সুশীলা অবশ্য তার খ্যাতি নিয়ে নির্ভার হাসি মুখে ছবি তুলতে পেরেই খুশি।

প্রশ্ন এখন গ্রামের মেয়ে সুশীলার ভাগ্য কি আকর্ষণ উদ্দীপনা আর খ্যাতি দিয়েই শেষ হবে নাকি তার বাস্তব জীবনেও আসবে পরিবর্তন?

এসএস