ক্রিকেট
এখন মাঠে
0

পচা খাবার-আবর্জনায় দূষিত হচ্ছে মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়াম

উপরে ফিটফাট, ভেতরে চোখ পড়লেই যেন দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম। মিরপুর শের-ই বাংলায় বিপিএলের ম্যাচ শেষে চিত্রটা যেন এমনই। পচা খাবার আর আবর্জনায় দূষিত হচ্ছে স্টেডিয়ামের পরিবেশ। তিন গ্যালারির জন্য ডাস্টবিন রয়েছে দু'টি, যা নিয়ে বিপাকে হোম অব ক্রিকেটের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরাও।

দেয়ালে দেয়ালে গ্রাফিতি, রং বদলে রঙিন করি সোনার বাংলা, বিপিএলের এগারতম আসরকে ভিন্ন মাত্রা দিতে নানারূপে সেজেছে মিরপুরের শের-ই বাংলা

তবে চাঁদেরও থাকে যে কলঙ্কের দাগ, বিপিএলের চাকচিক্যে তাই অদেখাই থেকে যায় পর্দার আড়ালে থাকা ছবিগুলো।

ছবিগুলো হোম অব ক্রিকেটের নর্দান-সাউদার্ন আর ইস্টার্ন গ্যালারির ২০০-৩০০ টাকার এই টিকিট কেটেই মাঠে খেলা উপভোগ করেন অধিকাংশ ক্রিকেটপ্রেমি। তবে ম্যাচ শেষে স্টেডিয়ামের এমন চিত্র নিশ্চয়ই প্রশ্ন তুলবে এখানকার পরিবেশ নিয়ে। পচা খাবার, আর আবর্জনা যেন ঢেকে রেখেছে জুলাই শহীদ মুগ্ধর নামে গড়া বিনামূল্যের পানির স্টলটাতেও

প্রশ্ন উঠতে পারে, তবে কি দর্শকদের বিবেকহীনতাই এই পরিস্থিতির কারণ? বাস্তবতা বলছে, দর্শকদের বিবেকহীনতার সাথে ক্রিকেট বোর্ডের বিচক্ষণতার অভাবও তৈরি করেছ এমন পরিবেশ। তিন গ্যালারির পুরোটা ঘুরে দেখা গেছে, এখানে দর্শকদের জন্য ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করা হয়েছ মোটে একটি, যা আবার গ্যালারি থেকে বেশ খানিকটা দূরে।

কোটি টাকা খরচের বিপিএলে প্রয়োজনীয় ডাস্টবিনের অভাববোধ করছেন খোদ স্টেডিয়ামে কাজ করা পরিচ্ছন্নতাকর্মীরাও।

মিরপুর স্টেডিয়ামের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের একজন বলেন, ‘জায়গায় জায়গায় ডাস্টবিন থাকলে আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের কষ্ট হতো না। আমাদের ময়লা নিতেও সুবিধা হতো আর যারা আসতা তারাও ময়লা ডাস্টবিনে ফেলতো।’

মিরপুর স্টেডিয়ামের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের আরেকজন বলেন, ‘যেসব ডাস্টবিন আছে সেগুলোর চাকা ভাঙা, ভালো না। আমরা দুইবছর ধরে কাজ করছি একই অবস্থা পাচ্ছি।’

ইএ