টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে পাঁচ ধাপ এগিয়ে থাকা দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই দলকে তাদের মাটিতেই খাবি খাওয়ে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ফেলেছেন মিরাজ, অনিক, শেখ মাহেদীরা।
উইন্ডিজের ঘরের মাটিতে এই সিরিজের আগে চারবার খেলার অভিজ্ঞতা আছে বাংলাদেশের। তবে এমন ইতিহাস গড়তে পারেনি সাকিব আল হাসান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদরা। এবার সিনিয়রদের ছাড়াই তরুণদের এমন পারফরম্যান্সকে বড় অর্জন বলে মানছেন সাবেক অধিনায়করা।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ ফরম্যাটটিতে ফেভারিট। তাদেরকে হোয়াইটওয়াশ করবো এটা আমরা কেউই আশা করিনি। অবশ্যই এটা বাংলাদেশের জন্য বিরাট একটা অর্জন।’
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফিস বলেন, বাংলাদেশ এমন একটা দল যখন তারা অ্যাজ এ টিম খেলে তখন তারা ভালো খেলে। তবে একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে, বাংলাদেশ টিম এখনো এমন একটা প্রসেসে আছে যেখানে ১০-১২ বছর ধরে ডিমনেট করা সুপারস্টার প্লেয়াররা কিন্তু ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়ে চলে এসেছেন। আর নবীন খেলোয়াড়রা আস্তে আস্তে জায়গা নিয়েছেন।’
হোয়াইটওয়াশসহ পুরো সিরিজে ব্যাট হাতে দারুণভাবে দায়িত্ব সামলেছেন জাকের আলি অনিক। হয়েছেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও। অন্যদিকে, নিজেদের ঘূর্ণিতে ক্যারিবিয়ানদের কুপোকাত করে উইকেটশিকারীর তালিকায় শীর্ষে শেখ মাহেদী, তাসকিন- রিশাদ হোসেনরা। দলের সাফল্যের পুরো কৃতিত্বই বোলারদের দিলেন সাবেকরাও।
শাহরিয়ার নাফিস বলেন, ‘আউটস্ট্যান্ডিং অ্যাচিভমেন্ট করেছে সেটা হলো জাকের আলি ও শামীম পাটোয়ারি। তবে আমি যদি দেখি বোলারদের পারফরম্যান্স অনেক বেশি ভালো ছিল। ব্যাটসম্যানরা বোলারদের সে পারফরম্যান্সটাকে কমেপ্লিমেন্ট করেছে।’
মোহাম্মদ আশরাফুল বলেন, জাকের আলি অনিক অসাধারণ ফর্মে আছেন। তিনটা ফরম্যাটেই সে ভালো ক্রিকেট খেলছেন মাশাল্লাহ। দেশের ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করেই কিন্তু আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই ভালো করছেন।’
২২ ডিসেম্বর দুই দলে ভাগ হয়ে দেশে ফিরবে জয়ী দল। কয়েকদিন বিশ্রামের পর দেশের সর্বোচ্চ ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ বিপিএলে আবারও ব্যস্ততা শুরু হবে ক্রিকেটারদের।