সময় খারাপ গেলে নাকি সাদা কাপড়েরও রঙ উঠে- সাকিব আল হাসান যেন পার করছেন নিজের জীবনের সেই খারাপ সময়টাই
শুরুতে চোখের সমস্যা, এরপর রাজনৈতিক পালাবদলে দেশে প্রবেশে নিরাপত্তার শঙ্কা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন ১৮ বছরের বেশি, ক্যারিয়ারের পড়ন্ত সন্ধ্যায় এবার সাকিবের সঙ্গী বোলিং অ্যাকশনে নিষেধাজ্ঞা
শুরুটা ইংল্যান্ডের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে, সারের হয়ে একটি ম্যাচে টানা ২৯ ওভারের স্পেল করেন সাকিব। ম্যাচে দারুণ করলেও সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশন নিয়ে রিপোর্ট করেন আম্পায়াররা। এরপর টেস্ট দিলে তাতেও পাশ করেননি মিস্টার সেভেন্টি ফাইভ।
সূত্র বলছে, অ্যাকশন শুধরে আবারও পরীক্ষা দিবেন আল হাসান। তবে এবার আর ইংল্যান্ডে নয়, চেন্নাইয়ের পরীক্ষাগারে দিবেন নিজের বোলিং টেস্ট। যেখানে ২০১৪ সালে টেস্ট দিয়ে পাশ করেছিলেন টাইগার পেসার আল-আমিন হোসেন।
আইসিসির অনুমোদিত এই ল্যাবে কিভাবে নেয়া হয় বোলিং টেস্ট? এখন টিভির ক্যামেরায় এ নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন সাকিবের এক সময়ের সতীর্থ আল-আমিন
বাংলাদেশ দলের পেসার আল-আমিন বলেন, ‘যখন সন্দেহ প্রকাশ করে তখন বোলারকে ওইভাবে বল করতে হয়। আর বল করার সময় আমাদের শরীরের বায়োমেকানিক্স দেখা হয়। আর এখানে হাত ভেতরে ১৫ ডিগ্রির মধ্যে রেখে বোলিং করতে হয়। আমার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে যখন সন্দেহ উঠেছিল তখন আমিও একইভাবে বোলিং করেছিলাম আমার কোনো সমস্যা হয় নাই। পরীক্ষার সময় ডাক্তাররা প্রত্যেকটি অঙ্গপ্রতঙ্গের মাপ নিয়ে থাকে। ৫০ থেকে ৬০ টা ছোট ক্যামেরা দিয়ে বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা করা হয়। তবে কয়টা বল করতে হবে তা এখানে নির্দিষ্ট নেই। মূলত যে বল নিয়ে সন্দেহ করা হয়েছে সেই বলটাই করতে বলা হয়।’
যদিও আল-আমিন মনে করেন দীর্ঘ সময় ক্রিকেট খেলা সাকিব খুব সহজেই উতরে যাবেন বোলিং টেস্ট
বাংলাদেশ দলের পেসার আল-আমিন বলেন, ‘আমার কাছে এমন কিছু মনে না হলেও এখানে যেহেতু বায়োমেকানিক্স ব্যাপার রয়েছে। তাই মনে রাখতে হবে খালি চোখে দেখে ঠিক মনে হলেও অনেকসময় বোলিং অ্যাকশনে ভুল থাকতে পারে। আমি আশা করছে সাকিব ভাই যেহেতু এতদিন ধরে ক্রিকেট খেলছেন তিনি সহজেই এই পরীক্ষা পাশ করবেন।’