গণমাধ্যমে কথা বলার চেয়ে প্রতিপক্ষের স্ট্যাম্প উপরে ফেলা যার কাছে সহজ, আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের সেরার পুরস্কার যেন তার হাতেই মানায়।
ক্যামেরার সামনে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট দলের পেসার ইকবাল হোসেন ইমন বলেন, 'আমার কাছে মনে হয় বল করাটা সহজ, কথা বলা কঠিন।'
আজ (মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই বিসিবি প্রাঙ্গণে বিজয়ী দলের খেলোয়াড়, পরিবার ও বিসিবি কর্তাদের পদচারণায় মুখোরিত। সকলেই উন্মুখ ছিলেন ভারতবধের গল্প শুনতে। ছোট সংগ্রহ নিয়েও প্রতিপক্ষ ভারত বলেই কিনা একবিন্দু ছাড় দিতে নারাজ ছিল জুনিয়র টাইগাররা।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট দলের পেসার ইকবাল হোসেন ইমন বলেন, 'যখন আমরা ইন্ডিয়ার সাথে খেলি তখন একটা হেড টু হেড খেলা হয়। বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া মানেই হেড টু হেড খেলা। আমাদের প্ল্যান ছিল কখনও ওদের ছাড় দেয়া যাবে না।'
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম বলেন, 'যে সেমিফাইনাল ম্যাচটা খেলেছিলাম। সেখানে আমরা টুর্নামেন্টের সেরা টিম পাকিস্তানকে আমরা বোলিং সাইড দিয়ে ১১৬ বা ১১৭ রানে অলআউট করেছিলাম। ওই বিশ্বাসটাই ছিল যে আমরা ওই ধারাবাহিকতাটাই রাখবো ফাইনালে। আর বোলারদের ওপর কনফিডেন্স ছিল।'
ফাইনালে দুবাই স্টেডিয়াম যেন ছিল এক টুকরো শের-ই বাংলা স্টেডিয়াম। তাই কিনা চ্যাম্পিয়নদের কণ্ঠে দর্শকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ঝরেছে।
ইকবাল হোসেন ইমন বলেন, 'বিদেশে খেলার সময় সাপোর্ট করলে আমাদের অনুভূতি অনেক বেশি থাকবে। আমাদের অনুভূতি অনেক ভালো ছিল। তারা আমাদের অনেক সাপোর্ট করেছে।'
কথায় আছে ভালোর শেষ নেই। সেই ভালোর চূড়ান্ত রূপ যুবারা দেখেছে ২০২০ সালে। যদিও এরপরের দুবারই হতাশ হতে হয়েছে জুনিয়র টাইগারদের। তাই পাখির চোখ আবারও সেই বিশ্বকাপ ট্রফিই।
আজিজুল হাকিম তামিম বলেন, 'অনূর্ধ্ব ১৯ এর মাত্র এশিয়া কাপ গেল, সামনে আমাদের বিশ্বকাপ আছে। এখন সেগুলো নিয়েই প্ল্যান চলছে।'
শিরোপা ধরে রাখা দেশের ক্রীড়াঙ্গনেই বিরল। এশিয়া কাপ তো ধরে রাখা হলো, মূল লক্ষ্য পূরণ হবে তো?