১৮ রানের লিড নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই অবশ্য দেখা মেলে সেই পুরোনো চিত্র। স্কোরবোর্ডে কোনো রান তোলার আগেই বাংলাদেশ হারায় ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে। প্রথম ওভারে উইকেট খোয়ালেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৪৭ রান তুলে বিপদ সামাল দেন সাদমান ইসলাম ও শাহাদাত হোসেন দিপু। আলজারি জোসেফের শিকার হওয়ার আগে দিপু করেন ২৬ বলে ২৮ রান।
চার নম্বারে ক্রিজে আসেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ক্যারিবীয় পেসারদের ওপর চড়াও হয়ে ৭০ রানের জুটি গড়েন সাদমানের সঙ্গে। আর এতেই বড় লিডের ভিত পায় বাংলাদেশ। তবে শামার জোসেফের গতির কাছে সাদমান পরাস্ত হওয়ার পরে মিরাজও একই বোলারের গতির কাছে হার মানেন।
অন্যদিকে আজ কিছুটা সাবলীল শুরুর আভাস দিলেও গ্রিভসের ইনসুইঙ্গারে বোল্ড হয়ে লিটন ফেরেন ২৫ রান করে। এরপর তাইজুলকে নিয়ে আরও ২০ রান যোগ করে অপরাজিত আছেন টানা দুই টেস্টে ফিফটি পাওয়া জাকের আলি অনিক। তার সংগ্রহ ২৯ রান, আর ৯ রানে ব্যাট করবেন তাইজুল।
এর আগে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হয় ১৬৪ রানে। দুর্দান্ত বোলিংয়ে স্বল্প পুঁজি নিয়েও লড়াই জমিয়ে দেয় বোলাররা। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অলআউট করে দেয় ১৪৬ রানে। তাতেই হয়েছে ১৮ রানের লিড। নাহিদ রানার নেতৃত্বে ক্যারিবীয় ব্যাটিং লাইন আপে ধস নামায় বাংলাদেশ। এই গতি দানব একাই তুলে নেন পাঁচ উইকেট। ইনিংসে নাহিদের পাঁচ শিকারের পাশাপাশি হাসান মাহমুদ নেন দুই উইকেট। একটি করে উইকেট ঝুলিতে পোরেন মিরাজ, তাসকিন ও তাইজুল।
স্যাবাইনা পার্কে সর্বোচ্চ রান তাড়া জয়ের রেকর্ড ২১১ রান। সেই রান ছাড়িয়ে আরও বড় লক্ষ্য দেয়ার দুয়ারে বাংলাদেশ। জ্যামাইকায় স্বাগতিকদের নতুন ইতিহাস নাকি বাংলাদেশের জয়ের উপাখ্যান, তা সময়ই বলে দেবে।