এ যেন এক আসা যাওয়ার মিছিল, লড়াইয়ের মানসিকতা আর টিকে থাকার প্রতিজ্ঞার স্পষ্ট অভাব ছিল ব্যাটারদের মাঝে। দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম ওভারেই আউট জাকির হাসান। কিমার রোচের অফ স্টাম্পের বাইরের বল স্টাম্পে টেনে আনেন তিনি। সবশেষ আট ইনিংসে পাঁচ বার ১০ রানের নিচে আউট হন জাকির।
ওয়ান ডাউনে নামা মমিনুল বেঁচে যান আম্পায়ার্স কলে। তবে প্রথম চার ওভারেই দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মেরে অনেকটা প্রথম ইনিংসের মতোই জেডেন সিলসের বলে স্লিপে ক্যাচ দেন জয়।
ইনিংসের ১১ ওভারেই রোচের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন শাহাদাত হোসেন। মাত্র চার রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ধুঁকতে থাকে বাংলাদেশ। মমিনুল ও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। জোসেফের বলে টানা দুইবার জীবন পেলেও ১৩তম ওভারে মমিনুলকে কট এন্ড বোল্ড করেন কিমার রোচ।
এরপর লিটন দাসের ১৮ বলে ২২ ও অধিনায়ক মিরাজের ৪৬ বলে ৪৫ রানের সুবাদে ১০০ পার করে লাল সবুজরা। লিটনকে আউট করেন শামার অপরদিকে মিরাজকে ডি সিলভার হাতে তালুবন্দী করেন সিলস। তাইজুলকে ৪ রানে বোল্ড করেন জেইডেন সিলস।
তিনটি করে উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং এ ধস নামান রোচ ও সিলস। শেষ পর্যন্ত ৩১ ওভারে ৭ উইকেটে ১০৯ রান করে দিন শেষ করেছে মিরাজ-লিটনরা। ব্যাটিং ব্যর্থতায় আরেকটি বড় পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ।
এর আগে চতুর্থ দিনের শুরুতে সবাইকে অবাক করে ১৮১ রানে পিছিয়ে থেকেই ইনিংস ঘোষণা করেন অধিনায়ক মেহেদী মিরাজ। দ্বিতীয় ইনিংসে তাসকিন ও মিরাজের বোলিং নৈপুণ্যে ১৫২ রানে অলআউট হয় উইন্ডিজ। ৬৪ রানে ক্যারিয়ার সেরা ৬ উইকেট নেন তাসকিন।