দল চট্টগ্রামে, ঝড় ঢাকায়। বন্দরনগরীতে দল পৌঁছানোর আগেই বাতাসের বেগে খবর ছড়িয়ে গেছে, বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব ছাড়তে চান নাজমুল হোসেন শান্ত। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টটা খেলেই স্বল্পদৈর্ঘ্যের এই যাত্রার সমাপ্তি চান তিনি।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সব সংস্করণের ভার চাপে শান্তর কাঁধে। প্রাথমিকভাবে তাকে দায়িত্ব দেয়া হয় আগামী বছর অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত। তবে মেয়াদ পূরণ করার আগেই নানা চাপে পিষ্ট হয়ে নেতৃত্ব ছাড়তে চান শান্ত।
সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল বলেন, ‘বাংলাদেশের টিমে যারা ক্যাপ্টেন হবেন তার পারফরমেন্স যদি ধারাবাহিক না থাকে তখন প্রচুর সমালোচনা হবে স্বাভাবিক।’
দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে তার ব্যাটটাও শান্ত হয়ে পড়ে। চলতি বছরে সর্বমোট ৩৬টা ইনিংস খেলেছেন শান্ত। এরমধ্যে পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলতে পেরেছেন মাত্র তিনবার। আগের বছর টেস্টে তিনটা সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া শান্ত এ বছর পাননি একটিরও দেখা। দায়িত্ব নেয়ার পর টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টিতে তার ব্যাটিং গড় যথাক্রমে ২০ ও ১৮ ।
ব্যাট হাতে মলিন হলেও মাঠে তার নেতৃত্ব প্রশংসা কুড়োচ্ছিল। তবে দল হিসেবে তার ফল পাওয়া যাচ্ছে কই? ভারপ্রাপ্ত আর পূর্ণ মেয়াদে শান্ত'র নেতৃত্বে ৯টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ, যার মধ্যে ৬টিতেই হেরেছে দল। সমানসংখ্যক ওয়ানডেতে ফলাফলটাও সমান। শান্ত'র আমলে সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ২৪টি ম্যাচের ১০টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
অধিনায়কত্ব ছাড়তে বিসিবিকে লিখিতভাবে জানালেও, শান্তর চাওয়া নির্ভর করছে বোর্ড সভাপতির সিদ্ধান্তের ওপর। জানা গেছে, বিকল্প না থাকায় শান্তকেই দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিসিবির কয়েকজন কর্মকর্তা।