টেস্টের চতুর্থ দিন মিরপুরের আকাশে মেঘের আড়ালে রোদের উঁকিতেও হাস্যজ্জ্বল এক ঘণ্টাও পার করতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। অনেকটা অনুমেয় ছিল চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দেয়ার আগেই ড্রেসিংরুমে ফিরবেন আগের দিনে টিকে থাকা ব্যাটাররা। হলোও তাই।
নাইম হাসান ও তাইজুলের উইকেট হারানোর পর অনেকটা শেষ হয়ে যায় বড় লিডের আশা এবং মিরাজের টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করার স্বপ্ন। শেষ পর্যন্ত তিন অঙ্কের ম্যাজিক সংখ্যা ছোঁয়ার ৩ রান আগেই রাবাদার বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন অলরাউন্ডার মিরাজ। আর তাতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস ৩০৭ রানে থামলে সফররতদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১০৬ রান।
মামুলি লক্ষ্যে নেমে বুঝে শুনে ব্যাট চালান দক্ষিণ আফ্রিকার দুই উদ্বোধনী ব্যাটার এইডেন মার্কাম এবং টনি জর্জি। হাসান মাহমুদের বলে তেমন একটা সুবিধা করতে না পারলেও তাইজুলের প্রথম ৩ ওভারেই ৫ বাউন্ডারি মেরেছে প্রোটিয়ারা।
তবে নিজের ঘূর্ণিতে দলীয় ৪২ রানে সময়ের সাথে সাথে ভয়ংকর হয়ে উঠা অধিনায়ক এইডেন মার্করামের উইকেট নিয়ে কিছুটা চাপ তৈরি করেন তাইজুল ইসলাম। ২৯ রানের ব্যবধানে প্রতিপক্ষের আরও এক উইকেট শিকারে উল্লাসের উপলক্ষ্য হন এই বাহাতি স্পিনার।
দলীয় ৯৭ রান, হাত থেকে বেরিয়ে গেছে ম্যাচ। শেষ সময়ে তাইজুলের আঘাতে বেডিংহামের উইকেট পতনও স্বস্তি আনতে পারেনি বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমে।
আর কোনো উইকেট না হারিয়ে রায়ান রিকেলটনকে সঙ্গী করে জয়ের ঝান্ডা উড়ান ট্রিস্টান স্টাবস।