এমন মুহূর্তের জন্য বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে প্রায় দুই যুগ। যে কারণে মুহূর্তটিকে বিশেষই বলতে হয়। এ সময়ের ছবিটা ক্রিকেটার কিংবা সমর্থক যে কেউই সোনার ফ্রেমে বাঁধাই করে রাখতে চাইবেন। কারণ টেস্ট স্ট্যাটাস প্রাপ্তির পর এবারই প্রথম পাকিস্তানকে সিরিজ হারালো বাংলাদেশ।
সিরিজ জয় বললে অনেকের কাছে সাদামাটা মনে হতে পারে। ক্রিকেটের ভাষায় বলতে গেলে হোয়াইটওয়াশ। আর দেশীয় সমর্থকদের ভাষায় বাংলাওয়াশ। তাও আবার পাকিস্তানের মাটিতেই।
ক্রিকেটের অভিজাত ফরম্যাটে অন্যতম দলটির বিপক্ষে ইতিহাস রচনার পথ সোমবারই তৈরি করে রেখেছিল শান্তর দল। বৃষ্টির বাগড়া না দিলে সেদিনই মহাকাব্যিক জয়টা পেয়ে যেতো বাংলাদেশ। অপেক্ষা বাড়লেও শেষদিনে ঠিকই ভক্তদের উল্লাসে ভাসিয়েছেন সাকিব-মুশফিকরা। এছাড়াও সিরিজে ম্যাচ সেরা লিটন দাস এবং সিরিজ সেরা হয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
চতুর্থ দিনে ওয়ানডে স্টাইলে খেলা জাকির হাসান শেষদিনে ইনিংসটা তেমন বড় করতে পারলেন না। তবে, ওয়ানডাউনে নামা শান্ত মাটি কামড়ে খেলেছেন। বাংলাদেশ অধিনায়ক ফিফটি হাঁকাতে না পারলেও জয়ের ভীত ঠিকই তৈরি করে দিয়েছেন। ৮২ বলে খেলেছেন ৩৮ রানের কার্যকরী ইনিংস। তাকে সঙ্গ দেয়া সাদমান ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এই ওপেনার বিদায় নিয়েছেন ব্যক্তিগত ২৪ রানে।
টেস্টে টাইগারদের অন্যতম সফল ক্রিকেটার মুমিনল হকও দলের জয়ে ভূমিকা রেখেছেন। যদিও আগের টেস্টের মতো ফিফটি হাকাতে পারেননি। তবে, ৭১ বলে ৩৪ রানের ইনিংস দুইশোর কম টার্গেটে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে।
আর বাংলাদেশকে ম্যাচের শেষের বৈতরণি পার করিয়েছেন সিনিয়র ক্যাম্পেইনার মুশফিকুর রহিম আর সাকিব আল হাসান। বিদেশের মাটিতে এটি বাংলাদেশের তৃতীয় টেস্ট সিরিজ জয়। এই জয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ র্যাংকিংয়ের চার নাম্বারে উঠে এল বাংলাদেশ।