চান্ডিকা হাথুরুসিংহের পুনরায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের হেড কোচ হওয়ার পেছনে অন্যতম ভূমিকা ছিলো বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজনের। মাঠ ও মাঠের বাইরে তাদের দুইয়ের রসায়নও ছিলো চমৎকার।
কিন্তু দারুণ সে সম্পর্ক ফাটল ধরে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে। দলের ওপর অগ্রাধিকার বাস্তবায়নে টিম ডিরেক্টর সুজনের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ান হাথুরু। হেড কোচের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে গণমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন খালেদ মাহমু সুজন। তবে তাদের দ্বন্দ্বের ব্যাপারটি এতোদিন প্রকাশ্যে আনেনি ক্রিকেট বোর্ড। অবশেষে হাথুরু ও সুজনের দ্বন্দ্বের ব্যাপারটি স্বীকার করলো বিসিবি।
জালাল ইউনুস বলেন, 'আমরা দলের মধ্যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি আশা করি না। কোনো একটা ইস্যু নিয়ে তাদের মধ্যে হয়তো বিরোধ হয়েছে। আশা করবো এমন যেন আর না হয়।'
ক্রিকেট বোর্ডের ভেতরে জোর গুঞ্জন হেড কোচের দায়িত্বে হাথুরুকে আর রাখতে চায় না। তবে ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত টিকে যাচ্ছেন লঙ্কান এ কোচ। যে কারণে শান্ত-মিরাজদের জন্য নতুন কোচ খুঁজছে বিসিবি, এটা ওপেন সিক্রেট। নতুন কোচ খোঁজার খবর পরিষ্কার না করলেও ১৯ জুলাই ছুটি কাটিয়ে যে হাথুরু এখনও ঢাকায় ফেরেননি তা নিশ্চিত করেছে ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
তিনি বলেন, 'কোচ পরিবর্তন হওয়া না হওয়ার বিষয়ে বোর্ড থেকে সিদ্ধান্ত হয়। তবে এখনো তেমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। উনি ১৯ তারিখ না হলেও ২৫-২৬ তারিখ আসবেন এমনটা আশা করেছিলাম। এখন ২ তারিখে আসবেন।'
হাথুরুকে ছাড়তে চাইলেও স্পিন কোচ মুসতাক আহমকে ধরে রাখতে মরিয়া বাংলাদেশ।
এদিকে পাকিস্তান সফরে নিরাপত্তার ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা পেয়েছে ক্রিকেট বোর্ড। পাকিস্তান সফরে ক্রিকেটারের আপত্তি নেই।