আইসিসির কোন আসর পাকিস্তানে হয়েছিল সেই ১৯৯৬ সালে। রাজনৈতিক বৈরিতা ও দেশটির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন থাকায় গেল ২৮ বছরে কোন বৈশ্বিক আসর আয়োজন করতে পারেনি পিসিবি। চলতি বছরে এশিয়া কাপ হওয়ার কথা থাকলেও, পুরো আসর হয়নি মূলত বিসিসিআইয়ের আপত্তির কারণে। তাই এশিয়া কাপ হয়েছিলো হাইব্রিড মডেলে।
তবে, ২০১৭ সাল থেকে পাকিস্তান ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলো সফর করায়। পাকিস্তান নিরাপত্তার প্রমাণ রেখেছে। তাই ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি কোন হাইব্রিড মডেলে নয়। ভারতকেসহ বাকি দেশগুলোর অংশ গ্রহণে করতে চায় পাকিস্তান। ভারতের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেয়েছে পিসিবি।
তাই ২০২৫ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি চূড়ান্ত করেছে পাকিস্তান। উদ্বোধনী ম্যাচ ১৯ ফেব্রুয়ারি স্বাগতিক পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড। পরের দিন বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে। ২৪ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে টাইগাররা। আসরের ফাইনাল ৯ মার্চ। সর্বশেষ আসরের চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচী ঘোষণা করলেও এখনো আইসিসি ৭ বছর পর হতে চলা আসরের প্রাইজমানি ঘোষণা করেনি। যদিও বৈশ্বিক আসর মাঠে গড়ানোর এক বছর আগেই প্রাইজমানি ঘোষণা করে থাকে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রাইজমানি ছিল ৪৫ লাখ ডলার বর্তমান সময়ে টাকায় প্রায় ৫৩ কোটি টাকা। যা তার আগের আসর ২০১৩ সালের থেকে বাড়ানো হয়েছিল ৫ লাখ ডলার। বর্তমান ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান পেয়েছিল ২২ লাখ ডলার বা প্রায় ২৬ কোটি টাকা। আর রানার আপ দল পেয়েছিল প্রায় ১৩ কোটি টাকা। সেমিফাইনাল খেলা ৪ দল পেয়েছিল সোয়া ৫ কোটি টাকার বেশি। তৃতীয় স্থান নিয়ে গ্রুপ শেষ করা দল পেয়েছিল এক কোটি টাকার উপরে আর চতুর্থ স্থান পাওয়া দলগুলো পেয়েছিল ৭০ লাখ টাকার বেশি।
স্বাভাবিকভাবেই ৭ বছর পর হতে চলা আসরের প্রাইজমানি আগের থেকে বাড়ার সম্ভাবনাই বেশি।